ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা শহরের ফাইজাবাদ আসনে হেরেছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানুয়ারিতে অযোধ্যায় ১৮০০ কোটি রূপি খরচ করে তৈরি করা রামমন্দিরটি উদ্বোধন করেন।
এই অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির দাবি তুলে ১৯৯০ সালে জাতীয় রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির দল বিজেপির উত্থান হয়।
যেখানে রামমন্দিরটি তৈরি করা হয় সেখানে ছিল ষোড়শ শতকের একটি মসজিদ। তবে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ১৯৯২ সালে মসজিদটি ভেঙে ফেলে। তাদের দাবি ষোড়শ শতকে মন্দির ভেঙে এখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এই দাবি তুলে তারা মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেয়। যা নিয়ে সেখানে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়।
মসজিদটি ধ্বংস করে দেওয়ায় ভারতজুড়ে ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এই দাঙ্গায় দেশটিতে ২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে; যাদের বেশিরভাগই মুসলিম। ঐতিহাসিক এই মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা বিজেপিকে ভারতের রাজনীতির মূলধারায় নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর কট্টর হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক উত্থান ঘটে ভারতে।
এদিকে এবারের নির্বাচনে পুরো উত্তর প্রদেশে ক্ষমতাসীন বিজেপির ভরাডুবি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখানেই ফাইজাবাদ আসনটি অবস্থিত।
বিজেপির দুই প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস উত্তর প্রদেশের ৮০টির আসনের অর্ধেকেরও বেশিতে এগিয়ে আছে।
যেখানে মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে সেটির জায়গা নিয়ে হিন্দু আর মুসলমানদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিবাদ চলে আসছিল। এরপর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৯ সালে দেওয়া এক রায়ে জমিটির মালিকানা হিন্দুদের দিয়ে দেয়। যদিও সর্বোচ্চ আদালত এটাও স্পষ্ট করে বলে যে মসজিদ ধ্বংস করাটা ছিল ‘আইনের শাসনের জঘন্য লঙ্ঘন।’
মসজিদ বানানোর জন্য মুসলমানদের অযোধ্যাতেই অন্য একটি জমিও দেয় আদালত।
সূত্র: আলজাজিরা