ঢাকা | বঙ্গাব্দ

প্রায় ১২ লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি!

এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী প্রার্থীদের তালিকায় আরও অনেকেই আছেন। তাদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম।
  • | ০৫ জুন, ২০২৪
প্রায় ১২ লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি! মধ্য প্রদেশের ইন্দোর আসনের বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর সিং লালওয়ানি

ভারতের সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন শঙ্কর লালওয়ানি নামে এক বিজেপি প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পৌনে ১২ লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী প্রার্থীদের তালিকায় আরও অনেকেই আছেন।

তাদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও আছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও। চলুন দেখে নেওয়া যাক সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন যেসব প্রার্থী—

শঙ্কর লালওয়ানি (বিজেপি, ইন্দোর)


২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছেন মধ্য প্রদেশের ইন্দোর আসনের বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর সিং লালওয়ানি। ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১২ লাখ ২৬ হাজার ৭৫১টি।

আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বহুজন সমাজ পার্টির সঞ্জয় সোলাঙ্কি পেয়েছেন মাত্র ৫১ হাজার ৬৫৯ ভোট। প্রসঙ্গত, এই আসনে শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী।

রাকিবুল হুসেন (কংগ্রেস, ধুবরি)


ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের ধুবরি লোকসভা আসন থেকে ৯ লাখ ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী রাকিবুল হুসেন। এআইইউডিএফ প্রার্থী বদরুদ্দিন আজমলকে পরাজিত করেছেন তিনি।

শিবরাজ সিং চৌহান (বিজেপি, বিদিশা)


মধ্য প্রদেশের বিদিশা আসনে রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ৮ লাখ ২১ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন কংগ্রেসের প্রতাপ ভানু শর্মাকে। শিবরাজ সিং চৌহান পেয়েছেন ১১ লাখ ১৬ হাজার ৪৬০ ভোট। আর প্রতাপ ভানু পেয়েছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫২ ভোট।

সিআর পাতিল (বিজেপি, নভসারি)


গুজরাটের নভসারি আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী সিআর পাতিল ৭ লাখ ৭৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন কংগ্রেসের নৈশাদভাই ভূপতভাই দেশাইকে। সিআর পাতিল পেয়েছেন ১০ লাখ ৩১ হাজার ৬৫ ভোট। অন্যদিকে দেশাই পেয়েছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৪ ভোট।

অমিত শাহ (বিজেপি, গান্ধীনগর)


ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৭ লাখ ৮৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন গুজরাটের গান্ধী নগর আসন থেকে। অমিত শাহ মোট ১০ লাখ ১০ হাজার ৯৭২ ভোট পেয়েছেন। আর কংগ্রেস প্রার্থী সোনাল রমনভাই প্যাটেল পেয়েছেন মাত্র ২ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৬ ভোট।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডায়মন্ড হারবার, তৃণমূল কংগ্রেস)


তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছেন দলটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবার আসনে তিনি ৭ লাখ ১০ হাজার ৯৩০ ভোটের রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছেন।

তিনি হারিয়েছেন বিজেপির অভিজিৎ দাস ববিকে। অভিষেক পেয়েছেন ১০ লাখ ৪৮ হাজার ২৩০ ভোট। আর বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ ভোট।

ডা. হেমাঙ্গ জোশী (বিজেপি, ভাদোদরা)


গুজরাটের ভাদোদরা থেকে বিজেপির ডা. হেমাঙ্গ জোশী ৫ লাখ ৮২ হাজার ১২৬ ভোটে জিতেছেন। তিনি পেয়েছেন ৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৮৯ ভোট আর কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৬৩ ভোট।

রাজপাল সিং যাদব (বিজেপি, পঞ্চমহল)


বিজেপি প্রার্থী রাজপাল সিং যাদব গুজরাটের পঞ্চমহল আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী গুলাব সিং চৌহানকে ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। রাজপাল সিং পেয়েছেন ৭ লাথ ৯৪ হাজার ৫৭৯ ভোট এবং গুলাব সিং পেয়েছেন ২ লাখ ৮৫ হাজার ২৩৭ ভোট।

পুরুষোত্তম ভাই রুপালা (বিজেপি, রাজকোট)


গুজরাটের রাজকোট আসনে কংগ্রেস প্রার্থী পরেশ ধন্নিকে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৬০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম ভাই রুপালা। রুপালা পেয়েছেন ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮৪ ভোট এবং ধন্নি পেয়েছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭২৪ ভোট।

শশীকান্ত সেন্থিল (কংগ্রেস, তিরুভাল্লুর)


তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর আসনে বিজেপির ভি. বালাগণপতিকে ৫ লাখ ৭২ হাজার ১৫৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী শশীকান্ত সেন্থিল। সেন্থিল পেয়েছেন ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯৫৬ ভোট এবং বালাগণপতি পেয়েছেন ২ লাখ ২৪ হাজার ৮০১ ভোট।