দেশ এখন লুটেরাদের কবলে। এ বাজেটও হয়েছে লুটেরাদের জন্য। বাজেটে নতুনভাবে লুটের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত তথাকথিত বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি। কথাগুলো বলছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাজেট প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আয়ের যেসব খাত দেখানো হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের ওপর গিয়ে বোঝাটা পড়বে। ব্যয় মেটানোর জন্য যা করবে, সেটাও সাধারণ মানুষের ওপরই গিয়ে পড়বে। এ বাজেট হলো ঋণনির্ভর। সবটাই গিয়ে পড়বে মানুষের ওপর।
বাজেটের সবচেয়ে খারাপ দিক নিয়ে তিনি বলেন, এখানে কর্মসংস্থান তৈরির মতো কোনো নির্দেশনা নেই। পুরো বাজেট মেগা প্রকল্পের, মেগা চুরি ও দুর্নীতির জন্য করা হয়েছে। সুতরাং, এটি শুধু তথাকথিত গণবিরোধী নয় এটি বাংলাদেশবিরোধী বাজেট।
তিনি বলেন, মানুষ বোঝা আর টানতে পারছে না। চরম মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের যে দাম বেড়েছে, তা তাদের জন্য সহনীয় নয়।
আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির ফলে পণ্যের দাম আরও বাড়বে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, কয়েকদিন আগেই পেট্রল-ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেছে। বাজেটের পর আবারও এসবের দাম বাড়বে। আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির ফলে প্রতি বছর চারবার করে দাম বাড়বে।
বৈধ আয় এবং কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য, যারা ন্যায়ভাবে আয় করে তাদের ওপরই তো পুরো চাপটা পড়ে। অন্যায়কারীদের জন্য কিছু হয় না। কী করে একজন সরকারি কর্মকর্তা হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হন? সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান কী করে এতো সম্পদ তৈরি করেন? এমন অনেক ঘটনা আছে। মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে পারলেন না। এটি সুশসানের অভাব এবং সরকারের চরম ব্যর্থতা। এখানে সরকারের চার-পাঁচজন সংসদ সদস্য জড়িত। কোথায় যাবে মানুষ? তাদের দাঁড়াবার জায়গা নেই।