রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা থেকে জালনোট প্রস্তুতকারী হৃদয় মাতব্বরকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। শুক্রবার (৭ জুন) র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে বিপুল জালনোটসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে হৃদয়ের কাছ থেকে জালনোট তৈরিতে ব্যবহৃত একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি প্রিন্টার, একটি রাউটার, একটি পেপার কাটার, ৯টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ড, তিনটি ভূয়া ভারতীয় এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও ৬০ হাজার ৭০০ টাকার জালনোট (৬০২টি ১০০ টাকার নোট এবং একটি ৫০০ টাকার নোট) উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘আসন্ন ঈদুল আজহাকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জালনোট বাজারে সরবরাহের পরিকল্পনা করেছিলেন হৃদয়। প্রতি ১ লাখ টাকার জাল নোট ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করলেও ঈদে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছিলেন তিনি।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে জালনোটের কারবার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হলে র্যাব বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। ঈদকে কেন্দ্র করে বেশকিছু জালনোট প্রস্তুতকারী চক্র সক্রিয় হওয়ার তথ্য পায় র্যাব। এর ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ এর একটি ভিযানিক দল শ্যামপুর থানাধীন পশ্চিম ধোলাইপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে।’
র্যাব-৩ এর কর্মকর্তা শামীম হোসেন আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত হৃদয় ধোলাইপাড় এলাকার একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করতেন। আগে থেকেই কম্পিউটারে পারদর্শী থাকায় ইউটিউব থেকে জালটাকা বানানোর প্রক্রিয়া দেখে এবং নিজের অর্জিত কম্পিউটার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে জাল নোট তৈরিতে পারদর্শিতা অর্জন করেন। পরবর্তীতে হৃদয় কম্পিউটার, প্রিন্টার, পেপার কাটার এবং জালটাকা তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিজ বাসায় জালটাকা ছাপানোর কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে জাল টাকা বিক্রয়ের জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করেন। এসব পেজ প্রমোট ও বুস্টিং করে অনেক পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা সংগ্রহ করেন।’
এএসপি শামীম বলেন, ‘এছাড়াও হৃদয় অবৈধভাবে দেশি ও বিদেশি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে সেগুলো বিভিন্ন অপরাধী চক্রের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে আসছিলেন।’