রাজধানীর গুলশান-বারিধারা কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পুলিশের আরেক কনস্টেবল কাউসার আলীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি তিনি। এমনকি তিনি পাগলের বেশ ধরেছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।
আজ (রোববার) বেলা ১১টার দিকে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান জানান, ঘাতক কনস্টেবল কাউসারকে নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়া হয় রাতেই। তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনো উত্তর দিচ্ছেন না তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে চুপচাপ ছিলেন কাউসার আলী। তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দেখা গেছে গত ৫-৬ দিন ধরে। ঘটনা ঘটিয়েও ভারসাম্যহীন আচরণ করছেন তিনি।
এর আগে গতকাল রাতেই ডিএমপির কূটনীতিক সিকিউরিটি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলাম সরকার বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে কাউসার আলী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। আমরা যতদূর জেনেছি, সে পাঁচ, ছয় দিন থেকে খুব চুপচাপ ছিলেন। তার অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলছিলেন না। তার ব্যাচমেটদের সঙ্গে কথা বলে এসব জেনেছি।
এদিকে, কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলার বাদী হবেন নিহত কনস্টেবল মনিরুলের বড় ভাই। তিনিও পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করেন। কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়।
এর আগে, গতকাল রাত পৌনে ১২টা থেকে ১২টা ৫ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরেকজন বাইসাইকেল আরোহীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।