নাটোরের গুরুদাসপুরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জামাত আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১২ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে সাতটার সময় উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-পাথুরিয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় দুলাভাই মো. লছিমুদ্দিন জাদুকে (৬৫) আটক করেছে থানা পুলিশ।
নিহতের মা জামেনা বেগম জানান, দীর্ঘদিন আগে তার স্বামী মৃত্যু বরণ করেছে। এক ছেলে তিন মেয়ে নিয়ে ছিলো তার সংসার। তার স্বামী মৃত্যুর পূর্বে দুই স্ত্রী রেখে যান। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বসতভিটা নিয়ে সতীনের বড় জামাই লছিমুদ্দিনের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল তাদের। লছিমুদ্দিন বিয়ের পর থেকেই ঘর জামাই থাকতো। তার পৈত্রিক বাড়ি বগুড়া জেলার গাবতলী এলাকায়। বসতভিটা দখল করার জন্য লছিমুদ্দিন বিভিন্ন সময় তার ছেলে জামাত আলীকে হুমকি দিতো। ছেলে জামাত আলী প্রায় দশ বছর যাবৎ প্যারালাইজড ও হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলো।
বুধবার সকালে কৌশলে তার ছেলে জামাত আলীর ঘরে স্বতীনের ঘর জামাই লছিমুদ্দিন প্রবেশ করে বুকের ওপর উঠে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এসময় লছিমুদ্দিনকে সহযোগিতা করেন তার মেয়ে লিপি খাতুন (৪২), ছেলে লাম হোসেন (২৩)। তার ছেলের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গিয়ে উদ্ধার করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। তিনি তার ছেলে হত্যার সাথে জড়িত সকলের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জল হোসেন জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুলাভাই লছিমুদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।