জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড (এনআইডি) যা ব্যক্তির নাগরিকত্বের প্রমাণ। সরকারি ও বেসরকারি সেবাগ্রহণসহ রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অনিবার্য এক বস্তু। চাকরির আবেদন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ যেকোনও ক্ষেত্রেই অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে জাতীয় পরিচয়পত্রের।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই পরিচয়পত্রে তথ্য ভুল থাকায় নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন সাধারণ মানুষ। সেই ভুল সংশোধন করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তিতে সময় লাগছে মাসের পর মাস, কখনও বা বছরের পর বছর।
জাতীয় পরিচয়পত্রে এমন তথ্য ভুলের কারণে নির্বাচন কমিশনকে দুষছেন সেবা ভোগীরা। এ বিষয়ে কমিশন বলছে, এনআইডি নিবন্ধনের সময় নাগরিকদের অসচেতনতা ও ভুল তথ্য দেয়ার কারণে পোহাতে হচ্ছে এমন ভোগান্তি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গত ৫ জুন পর্যন্ত এনআইডি সংশোধনের অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১। এদিকে প্রক্রিয়াধীন আবেদনের সংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৩। সব মিলে নির্বাচন কমিশনের টেবিলে পড়ে আছে ৬ লাখেরও বেশি আবেদন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার জানান,
‘কিছু কিছু তথ্য রয়েছে এন্ট্রির সময় করণীক ভুল হয়েছে। আবার কিছু কিছু তথ্য হালনাগাদের সময় ভুল দেন সেবা গ্রহীতরা।’
তিনি আরও জানান,
এনআইডি সংশোধন ত্বরান্বিত করতে সংশোধন ক্যাটাগরি ও জনবল বাড়ানো হয়েছে। অনলাইনে দাখিলকৃত আবেদনের ক্যাটাগরি সম্পন্ন করতে পাঁচ কার্যদিবস এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি কমাতে সহায়তা করবে।
নির্বাচন কমিশনে জমা হওয়া ৬ লাখেরও বেশি আবেদন অল্প সময়ের মধ্যে শূন্যে চলে আসবে বলে দাবি জাতীয় পরিচয়পত্রের মহাপরিচালকের।