ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অন্তর্দ্বন্দ্বেই কী উত্তরপ্রদেশে বিজেপির হার?

বিজেপির দুই ‘উগ্র হিন্দুত্ববাদী’ নেতা সঞ্জীব বালিয়ান ও সঙ্গীত সোম পরস্পরের দিকে আঙুল তুলেছেন। সঞ্জীব জাঠ জনগোষ্ঠীর নেতা। অন্যদিকে সঞ্জীব রাজপুত।
  • | ১৪ জুন, ২০২৪
অন্তর্দ্বন্দ্বেই কী উত্তরপ্রদেশে বিজেপির হার? মোদি-যোগি

এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। বিশেষত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ফলাফল খুবই খারাপ। স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়ে গিয়েছে পারস্পরিক দোষারোপের পালা। উঠছে অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগও। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার লখনউয়ে বিজেপির দফতরে বৈঠকে চেষ্টা হল এর উত্তর খোঁজার। জানা গেছে, বৈঠকে হারের কারণ খোঁজা হয়েছে সবিস্তারে।

ইতিমধ্যেই বিজেপির দুই ‘উগ্র হিন্দুত্ববাদী’ নেতা সঞ্জীব বালিয়ান ও সঙ্গীত সোম পরস্পরের দিকে আঙুল তুলেছেন। সঞ্জীব জাঠ জনগোষ্ঠীর নেতা। অন্যদিকে সঞ্জীব রাজপুত। প্রথমজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। দ্বিতীয়জন প্রাক্তন বিধায়ক।

সঞ্জীবের অভিযোগ, এবার ভোটে তার অখিলেশের দলের প্রার্থীর কাছে হেরে যাওয়ার পিছনে রয়েছে অন্তর্ঘাত। এমনকী এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদন্তের আবেদন জানানোর হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা গেছে তাকে। এর পরই মুখ খুলেছেন সঙ্গীত। তার দাবি, এসব না করে আত্মসমীক্ষা করুন সঞ্জীব। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগও করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে হেরে যান সঙ্গীত। সেই সময় তিনি আবার সঞ্জীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন অন্তর্ঘাতের।

এহেন পরিস্থিতিতে অন্তর্দ্বন্দ্বের ‘বিষ-বাতাবরণ’ সরিয়ে রেখে হারের প্রকৃত কারণ খুঁজতে তৎপর বিজেপি। শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে হারের প্রকৃত মূল্যায়ন। যার উপর নির্ভর করে আগামি দিনে রাজ্যে বিজেপির দলীয় রূপরেখা তৈরি করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৮০ আসনের মধ্যে ৬২টি আসনই পেয়েছিল এনডিএ। কিন্তু এবারের অঙ্ক একেবারে বিপরীতে। এনডিএ পেয়েছে মাত্র ৩৫টি আসন। অতি হিন্দুত্বে ‘গাজর নষ্ট’ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সংরক্ষণ উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে, এই আশঙ্কাও কাজ করেছে দলিতদের মনে। সব মিলিয়ে নতুন করে পরিস্থিতি মূল্যায়নের দিকেই ঝুঁকতে চাইছে বিজেপি।