ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জাল সনদে কেনা টাইটানিয়াম, বোয়িং ও এয়ারবাসের বিরুদ্ধে তদন্ত

  • | ১৫ জুন, ২০২৪
জাল সনদে কেনা টাইটানিয়াম, বোয়িং ও এয়ারবাসের বিরুদ্ধে তদন্ত দুটি কোম্পানিই অভিযোগ স্বীকার করেছে

জাল সনদ দিয়ে কেনা টাইটানিয়ামের তৈরি যন্ত্রাংশ উড়োজাহাজে ব্যবহারের অভিযোগে বিশ্বের শীর্ষ দুই প্রতিষ্ঠান বোয়িং ও এয়ারবাসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রিশন (এফএএ)।

বিষয়টি দুটি কোম্পানিই স্বীকার করলে তারা দাবি করেছে, যেসব উড়োজাহাজে এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয় সেগুলো নিরাপদ আছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস শুক্রবার প্রথম এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

করোনা মহামারির পর থেকে বিশ্বব্যাপী উড়োজাহাজের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু যন্ত্রাংশের অপ্রতুল সরবরাহের কারণে উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

টাইটানিয়াম ধাতুর সাহায্যে সাধারণত উড়োজাহাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। এর মধ্যে ল্যান্ডিং গিয়ার এবং উড়োজাহাজের ডানার সঙ্গে ইঞ্জিন আটকে রাখার পাইলন উল্লেখযোগ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথোরিটি বলছে, তারা জাল সনদে আনা টাইটানিয়াম পরীক্ষা করে দেখেছে তাতে খাদ আছে। তবে বোয়িংয়ের দাবি, টাইটানিয়ামের কোনো খাদ নেই, কেবল সেগুলো বিক্রির ক্ষেত্রে জাল সনদ ব্যবহার করা হয়।

বোয়িং আরও বলেছে, যেসব বিমান এখনো ডেলিভারি দেওয়া হয়নি, সেগুলো থেকে তারা টাইটানিয়ামের তৈরি যন্ত্রাংশগুলো সরিয়ে ফেলবে। তবে এখনো তারা উড়োজাহাজ ডেলিভারি দেওয়া বন্ধ করেনি। এমনকি যেসব উড়োজাহাজ এরই মধ্যে ব্যবহৃত হওয়া শুরু করেছে, সেগুলোর উড্ডয়নও বন্ধ করা হয়নি।

অন্যদিকে এয়ারবাস জানিয়েছে, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। ইউরোপীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানিটি বলেছে, তারা স্পিরিটের কাছ থেকে আসা যন্ত্রাংশগুলোর ওপর ‘অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা’ চালিয়েছে এবং তারা দেখেছে এ২২০ সিরিজের বিমানের উড্ডয়নযোগ্যতা অক্ষত আছে।

জাল সনদ দিয়ে কেনা টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি ফিউজিলাজ ও উইংস যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক স্পিরিট অ্যারোসিস্টেমসের কাছ থেকে কিনেছিল বোয়িং ও এয়ারবাস।

এ বিষয়ে স্পিরিট অ্যারোসিস্টেমস জানায়, জাল সনদে আনা টাইটানিয়াম তৈরি হয়েছে এমন সন্দেহভাজন সব যন্ত্রাংশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপাদানের যান্ত্রিক ও ধাতব বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করার জন্য ১ হাজারের বেশি বার পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে যে, এই যন্ত্রাংশগুলো এরই মধ্যেই সরবরাহ করা বিমানগুলো নিরাপদে উড়তে পারবে।