ঢাকা | বঙ্গাব্দ

‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল

স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় বিরতি শুরু হবে এবং কার্যকর থাকবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। কেরেম শালোম ক্রসিং থেকে সালাহ আল-দিন রোড এবং উত্তর দিকে যাওয়ার রাস্তা ধরে এ বিরতি দেওয়া হবে।
  • | ১৬ জুন, ২০২৪
‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল ১১ ঘন্টার এই যুদ্ধবিরতি কিছুটা হলেও স্বস্তি

ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অধিক পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের জন্য আক্রমণে ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। মূলত ভয়ংকর তাণ্ডবলীলা চালানোর পর গোটা বিশ্বের চাপের মুখে পড়ে আপাতত নরসংহারে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্রতিদিন অঞ্চলটির কিছু অংশে তাদের সামরিক কার্যকলাপে কৌশলগত বিরতি দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর সতর্কতার পর এই ঘোষণা দেয় তারা। জানা যাচ্ছে, যুদ্ধবিদ্ধস্ত রাফায় সর্বোচ্চ মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতেই এই পদক্ষেপ।

রোববার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় বিরতি শুরু হবে এবং কার্যকর থাকবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। কেরেম শালোম ক্রসিং থেকে সালাহ আল-দিন রোড এবং উত্তর দিকে যাওয়ার রাস্তা ধরে এ বিরতি দেওয়া হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিরতি প্রতিদিনই একইভাবে কার্যকর করা হবে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি জারি থাকবে। অন্যদিকে হামাসের তরফেও জানানো হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি তারা পালন করবে। ওদিক থেকে কোনও রকম আক্রমণ না হলে এদিক থেকেও কোনও হামলা হবে না।

এদিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে কৌশলগত বিরতি দেওয়া হলেও রাফাহতে যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামাসকে নির্মূল করতে গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী এ পর্যন্ত অন্তত ৩৭২৯৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে আর এদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন।

জানা যাচ্ছে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয় নেতানিয়াহুর কাছে। সেই প্রস্তাবে সম্মত হন তিনি। যদিও সূত্রের খবর, মানবিক সাহায্য সরবরাহের জন্য ১১ ঘণ্টার এই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ফের স্বমহিমায় ফিরবে ইসরায়েল। তবে টালমাটাল এই পরিস্থিতির মাঝে ১১ ঘন্টার এই যুদ্ধবিরতি কিছুটা হলেও স্বস্তি রাফাহর নাগরিকদের জন্য।