ভারতের তামিলনাড়ুতে বিষাক্ত মদপানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৫০ জনেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিছি জেলায় বিষাক্ত মদপানের পর অন্তত ২৯ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে অনেকেই করুণাপুরম এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় ছেলে হারানো এক নারী বলেছেন, তার ছেলে গুরুতর পেটে ব্যথা এবং চোখ খুলতে অসুবিধার কথা বলেছিলেন। প্রাথমিকভাবে, হাসপাতাল তার ছেলেকে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা বলে, সে মাতাল। রাজ্য সরকারের উচিত সমস্ত মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া।
আরেকজন মা বলেন, আমার ছেলের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা। সে দেখতেও পায় না, শুনতেও পায় না। এটা যেনো আর কারও সঙ্গে না হয়। মদ বিক্রি বন্ধ করুন।
এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার বলেছে, ২৬ জনের পান করা দেশি মদের প্যাকেট থেকে নমুনা নিয়ে ফরেনসিক করা হয়েছে এবং সেখানে বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
দেশটির মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন নিহতদের প্রতি সমবেদনা ও তাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘এই ঘটনায় স্তম্ভিত। বিষাক্ত মদ খেয়ে মানুষের মৃত্যুর খবরে মর্মাহত ও ব্যথিত হয়েছি। কাল্লাকুড়িছিতে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি যারা এই কাণ্ড রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’
শোকপ্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আর এন রবি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ’কাল্লাকুড়িছিতে বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রয়েছে। যাদের চিকিৎসা চলছে তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ তিনি আরও জানান, ‘প্রায়শই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ধরনের ঘটনার খবর মেলে। যা খুবই উদ্বেগের বিষয়।’ বিষাক্ত মদের কারণে প্রাণহানি রুখতে সরকারকে কড়া নজরদারি চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কাল্লাকুড়িছির জেলা কালেক্টর এমএস প্রশান্ত জেলার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারতদের অবস্থা পর্যবেক্ষণে গেছেন।