তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাইলামার (৮৮) সঙ্গে বুধবার (১৯ জুন) মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ ক্ষমতাসীন দলের একদল জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক সাক্ষাৎ করেছেন। ভারতের পার্বত্য জেলা ধর্মশালায় তিব্বতের ওই নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন ওই প্রতিনিধি দল। খবর আরব নিউজের।
এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ওপর বেজায় চটেছে চীন। ভারতে অবস্থান নেয়া তিব্বতের প্রবাসী দালালামা সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে বাইডেন প্রশাসনের বার্তা পৌঁছে দেন ন্যান্সি পেলোসি। এ সময় তিব্বত টিভিতে ভারত থেকে প্রচারিত ন্যান্সি পেলোসির বক্তব্য প্রচার করা হয়। ন্যান্সি পেলোসি তার বক্তব্যে বলেন, দালাইলামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। এটা আমার জন্য বিশাল একটা প্রাপ্তি।
২০১০ সালে তিব্বত থেকে বের করে দেয়া আধ্যাতিক নেতা দালাইলামার সঙ্গে চীনকে আলোচনায় বসারও আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিনিধি দল। তিব্বতকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে একটি খসড়া বিল উত্থাপন করা হয়েছে। ন্যান্সি পেলোসি বলেন, খুব শিগগিরই ওই প্রস্তাবিত বিলে স্বাক্ষর করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এদিকে, দালাইলামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের কঠোর সমালোচনা করেছে দিল্লিতে অবস্থিত চীন দূতাবাস। এক প্রতিবাদলিপিতে চীন বলেছে, দালাইলামা সত্যিকার অর্থে কোনো ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিত গুরু নন, তিনি আসলে ধর্মের আড়ালে রাজনীতি করছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে চীনের সেনারা তিব্বতে ঢুকে সেখানকার নেতাদের গ্রেফতার করতে থাকে। সে সময় মাত্র ২৩ বছর বয়সে দালাইলামাসহ তিব্বতের নেতারা দেশটি থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নেন। তিব্বত থেকে পালিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার নাগরিক বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় দালাইলামাসহ তিব্বতের বিতারিত নেতাদের আবারো দেশটিতে ফিরতে দিক চীন।