ঢাকা | বঙ্গাব্দ

দালাই লামার সঙ্গে ন্যান্সির সাক্ষাত, চীনের ক্ষোভ

তিব্বত নিয়ে স্পর্শকাতর চীন হুমকির স্বরে বলেছে, তিব্বতকে চীনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যদি বিবেচনা না করে, তারা ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেবে।
  • | ২০ জুন, ২০২৪
দালাই লামার সঙ্গে ন্যান্সির সাক্ষাত, চীনের ক্ষোভ দালাই লামার সঙ্গে ন্যান্সি পেলোসি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি-সহ সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় এসে বৈঠক করেছেন তিব্বতের ধর্মগুরু দালাই লামার সঙ্গে। তার পরই প্রত্যাশিত ভাবে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তিব্বত নিয়ে স্পর্শকাতর চীন হুমকির স্বরে বলেছে, তিব্বতকে চীনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যদি বিবেচনা না করে, তারা ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেবে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিং জিয়াংয়ের কথায়, ‘‘চতুর্দশ দালাই লামা পুরোপুরি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নন, বরং ধর্মের নামে চীন-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত একজন নির্বাসিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।’’ চীন-তিব্বত বিরোধ সমাধানের সপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে পাশ হওয়া আইনকে যাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমর্থন না করেন, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বলতে চাই, দালাই লামা গোষ্ঠীর চীন-বিরোধিতা এবং তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী অবস্থানকে তারা বুঝুক। বিশ্বকে ভুল সংকেত পাঠানো বন্ধ করুক’।

অন্য দিকে, বেইজিংকে উদ্দেশ্য করে পেলোসির বক্তব্য, ‘‘ধর্মগুরু দালাই লামা দীর্ঘজীবী হবেন এবং তার পরম্পরা চলতেই থাকবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট (চীনের), আপনি যখন যাবেন, কেউ আপনাকে কোনও কাজের জন্যই কৃতিত্ব দেবে না। দালাই লামা হয়তো চাইবেন না এ ভাবে চীন সরকারের সমালোচনা করি। তিনি হয়তো বলবেন, আমরা প্রার্থনা করি যাতে ন্যান্সি এই নেতিবাচক আচরণ থেকে মুক্তি পান! তবে আশা করব, তিনি আজ আমাকে এটা বলতে দেবেন যে বদল আসছে। তিব্বতের মানুষের আশাভরসা যাবতীয় তফাৎ গড়ে দেবে।’’

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস সম্প্রতি ‘তিব্বত-চীন বিরোধ নিষ্পত্তিকে উৎসাহ প্রদান’ আইন ৩৯১-২৬ ভোটে পাশ করেছে। সিনেটেও তা পাশ হয়ে গেছে। এই আইন অনুযায়ী, তিব্বতের ইতিহাস, মানুষ ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সম্পর্কে চীনের ‘মিথ্যা তথ্য’-এর মোকাবিলা করতে অর্থ সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। তিব্বত তাদের অংশ বলে চীন যে দাবি করে, সেই ভাষ্যের পাল্টা জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই আইনে। তিব্বতের নেতাদের সঙ্গে চীনের আলোচনা ২০১০ সাল থেকে বন্ধ হয়ে আছে, তা চালু করার জন্য বেইজিংয়ের উপরে চাপ সৃষ্টি করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে তিব্বত নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছনো যায়।