স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ এপ্রিল) বাফেলো সিটি কোর্টে হাজির করে পুলিশ কামিংসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক স্যামুয়েল পি ডেভিস তা মঞ্জুর করেন। এরিক কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মাইাকেল জে কিন এ আবেদন করেন। এর আগে রোববার ৩১ বছর বয়সী ওই যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জে কিন বলেন, কামিংসের বিরুদ্ধে বাফেলো অপরাধ আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন। থাকার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা না থাকায় মামলাগুলোর একটিতেও হাজিরা দেননি তিনি। হত্যাকাণ্ডের প্রায় একই সময়ে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখা গেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির কাছ থেকে একটি অটোমেটিক রাইফেল জব্দের কথা জানিয়ে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি বলেন, অস্ত্রটি বেআইনিভাবে তার দখলে ছিল। দুই বাংলাদেশিকে হত্যায় সেটি ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৫ এপ্রিল) অজ্ঞাত এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ (৫৩) ও কুমিল্লার বাবুল মিয়া (৫৮)।
এ ঘটনার পর পরই ডাকা হয় একটি সোয়াট টিমকে। এসময় স্থানীয়দের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ জানায় পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলের পাশের একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ডেল ও’ কামিংস নামে ভাসমান ওই যুবককে শনাক্ত করে পুলিশ। তাকে ধরিয়ে দিতে সাড়ে ৭ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয় ওইদিন।