চুয়াডাঙ্গার কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্ট্রিলারি বিভাগ থেকে ১৩ হাজার ১৯০ লিটার ডিএস স্পিরিট (মদ) গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। যার মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ অভিযোগ দাখিল করেছেন কেরু চিনিকলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিলারি বিভাগের ভান্ডার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন। সেও অভিযোগে বলা হয়েছে, দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার সময় ডিএস স্পিরিটের ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউনের সরেজমিন গভীরতা পাওয়া যায় ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৩৫ হাজার ৫১২ দশমিক ২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত রয়েছে ৩৯ হাজার ৭১১ দশমিক ৫৫ লিটার।
এছাড়া ৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরেজমিন গভীরতা পাওয়া যায় ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৪ হাজার ৮০৪ দশমিক ৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত রয়েছে ১৩ হাজার ৭৯৫ দশমিক ৭৩ লিটার। অন্যদিকে ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি মালামাল কম আছে।
অভিযোগ মোতাবেক ভ্যাট নম্বর ৩, ভ্যাট নম্বর ৭ ও ভ্যাট নম্বর ১০-এর বাস্তবিক মজুত অনুযায়ী ১৩ হাজার ১৯০ দশমিক ৭৫ লিটার মালামাল কম থাকায় জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব গ্রহণ করেননি।
তবে বর্তমান ভান্ডার ইনচার্জ সাজেদুর রহমান জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের সময় খাতাপত্র হালনাগাদ হয়নি। মালামালে কোনো হেরফের নেই। জুনের পর হিসাব মিলিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ইউসুপ আলী বলেন, ডিস্ট্রিলারি বিভাগের কিছু মালামাল কম রয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বিষয়টি দাপ্তরিকভাবে আমাকে জানানো হয়েছে। আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।