জানুয়ারি থেকে জুন। অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের পরে সবে কেটেছে ছয় মাস। এরই মধ্যে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়তে শুরু করেছে রামমন্দিরে। এ বার রামমন্দিরগামী রাস্তা রামপথ জুড়ে দেখা গিয়েছে বিপজ্জনক সব খানাখন্দ, যা যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। যে রামমন্দির সামনে রেখে এ বারের লোকসভা ভোটে লড়তে নামে বিজেপি, প্রত্যাশিত ফল না পেয়েই কি তার এমন দৈন্যদশা? উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার অবশ্য এই বিতর্ক শুরুতেই থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পাল্টা যুক্তি দিয়ে এবং কিছু জরুরি পদক্ষেপ করে।
রামমন্দিরের ছাদ থেকে মন্দিরের ভিতরে পানি পড়া এবং পনি জমার অভিযোগ গত সপ্তাহেই করেন মন্দিরের পুরোহিত। তার পরে সপ্তাহভর টানা ভারী বৃষ্টি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। প্রথম বৃষ্টিতেই রামমন্দিরগামী ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রামপথে যত্রতত্র তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। অনেকটা জায়গা জুড়ে জমেছে পানিও। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ভোটের আগে রামনগরী অযোধ্যার যে আধুনিক পরিকাঠামোর বিজ্ঞাপন করেছে যোগীর সরকার, তার বাস্তবতা কোথায়?
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, রামপথে খানাখন্দের কিছু ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে যোগী আদিত্যনাথ সরকার পিডব্লিউডি-র তিন ইঞ্জিনিয়ারকে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করেছে। অযোধ্যার মেয়র জানিয়েছেন, ওই খানাখন্দের খবর পাওয়া মাত্র তা বন্ধেরও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বিরোধীরা সেই সময়টুকু অপেক্ষা না-করেই সমালোচনা শুরু করেছে।
অন্য দিকে, রামমন্দিরের ছাদ থেকে পানি পড়ার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। তিনি বলেছেন, ‘‘এক ফোঁটা পানিও মন্দিরের ভিতরে পড়েনি। গর্ভগৃহে তো নয়ই।’’ রামমন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, ‘‘রামমন্দিরের দোতলায় এখনও নির্মাণ চলছে। তাই ছাদের একাংশ খোলা রয়েছে। সেখান থেকে পাইপের পানি চুঁইয়ে ভিতরে পড়ে থাকতে পারে। তবে তা কখনওই বৃষ্টির পানি নয়।’’