ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মোদির বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ সোনিয়ার

মণিপুরে গত এক বছর ধরে চলা সহিংসতা নিয়েও সংসদে মোদি সরকার আলোচনা করতে দিতে চাইছেন না বলে অভিযোগ করেন সাবেক কংগ্রেস সভানেত্রী।
  • | ২৯ জুন, ২০২৪
মোদির বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ সোনিয়ার কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখে বিরোধীদের সঙ্গে ঐকমত্যের কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে সেই প্রচেষ্টা নেই বলে অভিযোগ কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংঘাতের নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত করছেন।

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ‘নিট দুর্নীতি’র অভিযোগ নিয়ে আলোচনার দাবি তোলায় শুক্রবার লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের মাইক বন্ধ করা হয় বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন সাবেক কংগ্রেস সভানেত্রী।

নতুন লোকসভার প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সোমবার (২৪ জুন) মোদি বলেন, দেশ চালাতে ঐকমত্য জরুরি। তাই তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চান। কিন্তু তার পরেই স্পিকার নির্বাচন নিয়ে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। এমনকি, দীর্ঘ দিনের সংসদীয় রীতি ভেঙে লোকসভার ডেপুটি স্পিকার পদটিও নিজেদের হাতে রাখার বার্তা দিয়েছে ক্ষমতাসীন এনডিএ। এই আবহে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন সোনিয়া। ‘নিট দুর্নীতি’র পাশাপাশি মণিপুরে গত এক বছর ধরে চলা সহিংসতা নিয়েও সংসদে মোদি সরকার আলোচনা করতে দিতে চাইছেন না বলে অভিযোগ করেন সাবেক কংগ্রেস সভানেত্রী।

ভারতের গণমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, স্পিকার নির্বাচন নিয়ে ‘ইনডিয়া’ স্পষ্ট ভাষায় সরকার পক্ষকে জানায় তাদের প্রার্থীকে সমর্থন দিতে কোনো আপত্তি নেই। পাশাপাশি, সংসদীয় প্রথা মেনে বিরোধীদের ডেপুটি স্পিকার পদটি ছাড়ার কথা আমরা বলেছিলাম। কিন্তু তাতে সায় না দিয়ে সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে, মুখে ঐকমত্যের কথা বলে তারা সংঘাতের পথেই হাঁটতে চায়।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে মোদির ‘রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত এবং নৈতিক পরাজয় হয়েছে’ বলেও দাবি করেন সোনিয়া। তিনি বলেন, বিদ্বেষ, মেরুকরণ এবং বিভাজনের রাজনীতিকে মানুষ না বলেছে। কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যসভার নেতা খড়্গে শনিবার সোনিয়ার ওই সাক্ষাৎকার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন।  সোনিয়ার মন্তব্য উদৃত করে তিনি লিখেছেন, ঐকমত্যের প্রচার, সংঘাতে উস্কানি। ভোটের ফল দেখার পর প্রধানমন্ত্রী যে বার্তা দিয়েছেন, তা অনুসরণের কোনও প্রমাণ নেই।