ঢাকা | বঙ্গাব্দ

হলি আর্টিজানে ভয়াবহ হামলার ৮ বছর আজ

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় গোটা দেশকে স্তম্ভিত করেছিল।
  • | ০১ জুলাই, ২০২৪
হলি আর্টিজানে ভয়াবহ হামলার ৮ বছর আজ হলি আর্টিজান হামলার ৮ বছর আজ

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় গোটা দেশকে স্তম্ভিত করেছিল। বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয় বহির্বিশ্বের কাছে। সেনা অভিযানে নিহত হয় হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় জড়িত ৮ জঙ্গি।


হলি আর্টিজান বেকারিতে ওই নৃশংস জঙ্গি হামলার আট বছর হলো আজ। হাইকোর্টের রায়ের পর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তা প্রকাশ হয়নি। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা জানান, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর ফাঁসির দণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারাগারে রয়েছেন অভিযুক্ত আরও ৮ জন।


এই হামলার ঘটনায় করা মামলায় ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনকে খালাস দেন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। গেল বছর অক্টোবরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। কিন্তু এখনো প্রকাশ হয়নি সেই পূর্ণাঙ্গ রায়।


অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, সম্পূর্ণ নিরীহ কতগুলো মানুষকে তারা ধর্মের নাম ও উগ্রবাদীতার নামে হত্যা করেছে। এখন যাদের আদেশগুলো হয়েছে তারা কিন্তু পেছনে ছিল, তারাই কিন্তু ওদের মদদ দিয়েছে অস্ত্র দিয়ে, টাকা দিয়ে। মূল পরিকল্পনার অনেকাংশে ওরা ছিল। যার ফলে ওদের প্রতি বিন্দুমাত্র অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই বলে আমি মনে করি।


তিনি আরও জানান, জঙ্গি হামলায় যারা জড়িত তাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া প্রয়োজন ছিল। এ সময় পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে আপিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।


অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, পুরো রায় পাওয়ার পর আমরা রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো, যোগাযোগ করবো। ওনাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো। কিন্তু এখন আমরা রায় পুরোটা পাইনি, সেটা পাওয়ার পর আমরা কি করবো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।


পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলাহয়, ওই হামলায় জড়িতরা নব্য জেএমবির সদস্য যারা ঘটনার পর নিজেদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস বলে দাবি করেছিল।