টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসাম। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সোমবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ফোন করে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
হিমন্ত সোমবার (১ জুলাই) এক্স হ্যান্ডলে মোদির ফোনের কথা জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসামের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ আগে ফোন করেন। তাকে জানিয়েছি, যে আসাম এবং অরুণাচল প্রদেশে বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দফার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আসামের উচ্চ জেলাগুলিতে রাজ্য সরকারের গৃহীত ত্রাণ এবং উদ্ধারের ব্যবস্থা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেছি। এই সঙ্কটের সময়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’’
আসাম সরকার সূত্রের খবর, টানা বৃষ্টির কারণে বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে ব্রহ্মপুত্র, বুড়িডিহিং, সুবনসিরি, ধানসিড়ি, জিয়া ভরালি, পুথিমারি, বেকি, গুরুং, সঙ্কোশ-সহ বিভিন্ন নদী। ব্রহ্মপুত্রে প্লাবনের কারণে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের বিস্তীর্ণ অংশ ইতিমধ্যেই পানির নিচে চলে গিয়েছে। গন্ডার, বুনো মহিষ, হরিণ-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ছে।
আসাম বন দফতর সোমবার জানিয়েছে, কাজিরাঙার ২৩৩টি ফরেস্ট ক্যাম্পের ৬২টিই এখন পানির নিচে। প্রায় প্রতি বছরই কাজিরাঙার নীচু অংশ প্লাবিত হলে ৭১৫ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে বন্যপ্রাণীরা কার্বি আংলং পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। সে সময় যানবাহনের ধাক্কায় মারা পড়ে অনেকে। এই পরিস্থিতিতে ওই জাতীয় সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নজর দিচ্ছে আসাম বন দফতর।