ঢাকা | বঙ্গাব্দ

৭০০ মানুষকে নিজের চল্লিশা খাওয়ালেন মারফত আলী

জীবিত থাকতেই চল্লিশার আয়োজন চলছে খাবার পরিবেশন।
  • | ০৩ জুলাই, ২০২৪
৭০০ মানুষকে নিজের চল্লিশা খাওয়ালেন মারফত আলী সংগৃহীত

জীবিত থাকতেই চল্লিশার আয়োজন চলছে খাবার পরিবেশন। নিজের চল্লিশার এই বিশাল ভোজের আয়োজন করেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের সত্তোরোর্ধ্ব মারফত আলী।


সাধারণতো মারা যাওয়ার ৪০ তম দিনে মৃত ব্যক্তি আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হয়, যা চল্লিশা নামে আমরা জেনে থাকি। এই দিন ভোজনের আয়োজন করার প্রচলন রয়েছে আমাদের দেশে।


গত সোমবার (১ জুলাই) নিজ বাড়ির উঠানে আয়োজন করা চল্লিশার ভোজনে হাজির হন ৭ শতাধিক মানুষ। এমন আয়োজন নিয়ে গ্রামবাসীর মাঝে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


মারফত আলী বলেন, তিনি মারা গেলে সন্তানেরা গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করে তৃপ্তি সহকারে খাওয়াবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল তার। তাই তিনি জীবদ্দশায় এই আয়োজন করেছেন। যেখানে আত্মীয় স্বজনসহ গ্রামের মানুষদের দাওয়াত করে খাইয়েছেন। সবাই এই আয়োজন অংশ নেওয়ায় বেশ তৃপ্ত হন তিনি।


তিনি আরও বলেন, ৭০০ থেকে ৮০০ মানুষের আয়োজন করেছি। নিজের পালিত গরু ও একটি ছাগল জবাই দিয়েছি। বৃষ্টির কারণে সবাই না আসতে পারলেও প্রায় ৫০০ মানুষ এসেছেন। অনেক খাবার রোয়ে গিয়েছে সেগুলো পরে প্রতিবেশীদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছি।


মারফত আলীর ছেলে সুজন মিয়া জানান, বাবা ইচ্ছা পোষণ করেছেন যে নিজে থেকে মানুষকে খাওয়াবেন। আমরা বাবার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে এই কাজে সহযোগিতা করেছি এবং ভালোভাবেই এই আয়োজন সম্পন্ন করতে পেরেছি বলে মোনে করছি।


বড়হিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন,

'আমাকে আগেই বিষয়টি জানিয়েছিলেন এবং দাওয়াত ও দিয়েছিলেন। আমি গত ৫০ বছরে এমন আয়োজন দেখেনি যে নিজের চল্লিশা নিজেই কেউ খাওয়ায়। বিষয়টি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। আমি নিজে উপস্থিত না থাকতে পারলেও জেনেছি যে মানুষজন তৃপ্তি নিয়ে তার দাওয়াত খেয়েছে'।