কিশোরগঞ্জের ইটনায় মসজিদে দান করা একটি আম উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যার বাজার মূল্য স্থানীয়দের মতে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা পশ্চিমপাড়া বায়তুল-আমান জামে মসজিদে জুমার নামাজের আগে এ ঘটনা ঘটে। আমটি কিনেছেন মসজিদের ইমাম মাওলানা মাসুম বিল্লাহ।
মসজিদের ইমাম মাওলানা মাসুম বিল্লাহ বলেন,আমাদের মসজিদে দানের জিনিসপত্রগুলো উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। এসব টাকা মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়। মসজিদের জিনিসপত্র কিনে নেওয়াতেও বরকত রয়েছে। বরকতের উসিলায় আমটা এত দামে কিনেছি। এবং এই অর্থ দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজ করা হবে।
মসজিদের মুসল্লি কিরণ মিয়া বলেন, আমাদের মহল্লা থেকে মসজিদে দান করা সব কিছু প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের আগে নিলামে বিক্রি করা হয়। এতে আমাদের এলাকার মুসল্লিরা স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত দামে কিনে নিয়ে যান। আজকে আম যেমন বিক্রি হয়েছে, এর পাশাপাশি এক হালি ডিম ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এসব টাকা মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হবে।
ক্রেতারাও তা স্বাচ্ছন্দ্যে ক্রয় করে থাকেন। কিন্তু জনমনে প্রশ্ন জাগে শরিয়তের দৃষ্টিতে এমন ক্রয় বিক্রয়ের হুকুম কি?
এ বিষয়ে মাওলানা ইউসুফ আলী রুমেল বলেন,আল্লাহ তাআলা হালাল পন্থায় ব্যবসা করার মাধ্যমে একে অপরের সম্পদ ভোগ করাকে বৈধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু লাভ করার কোনো পরিমাণ নির্ধারণ করে দেন নি। বরং পরস্পর সন্তুষ্ট চিত্তে যেকোনো পরিমাণ লাভ করার সুযোগ প্রদান করেছেন। আল্লাহ তাআলা (সুরা নিসা:আয়াত ২৯) আয়াতে বলেন হে ইমানদারগণ, তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। তবে পরস্পর সন্তুষ্টি চিত্তে ব্যবসার মাধ্যমে ভোগ করতে পারো।
মাওলানা ইউসুফ আলী বলেন,শরিয়ত যেহেতু লাভের পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো দখলদারিত্ব করে না, তাই বিক্রেতা নিজের পণ্যে যত ইচ্ছে ততো লাভ নিয়ে বিক্রি করতে পারে।
thebgbd.com/NIT