ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান, ৪ পরিবার সমাজচ্যুত

জুমার নামাজের বয়ানে সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলায় মাওলানা রহমত উল্লাহ নামের এক ইমামকে চাকরিচ্যুত করা বলে জানা গেছে।
  • | ০৫ জুলাই, ২০২৪
সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান, ৪ পরিবার সমাজচ্যুত সংগৃহীত

জুমার নামাজের বয়ানে সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলায় মাওলানা রহমত উল্লাহ নামের এক ইমামকে চাকরিচ্যুত করা বলে জানা গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া এবং কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করায় চার পরিবারকে সমাজচ্যূত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ছেঙ্গারচর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে।

স্থানীয়রা এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই ওয়ার্ডের জোড়খালি গ্রামের বাসিন্দা সাইফুদ্দিন ২২ জুন ইমামের চাকরিচ্যূতের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। সমাজচ্যূত অন্য তিন পরিবারের সদস্যরা ওই পোস্টে কমেন্ট করেন।

তবে তারা মসজিদ কমিটির কাছে ক্ষমা চাইলে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে। সিদ্ধান্তের পরপরই শিপন আহম্মেদ নামের স্থানীয় বাসিন্দার ফেসবুক আইডি থেকে সাইফুদ্দিনের ছবি সম্বলিত ‘সমাজ থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে’ বলে প্রচার করা হয়। তারপর থেকে সমাজের লোকজন এই চার পরিবারের সাথে কথা বলা ও চলাফেরা বন্ধ করে দেয়। এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও মানহানীর বিচার চান পরিবারগুলো।

মসজিদ কমিটির পর ফেসবুকে শিপন আহম্মেদ নামের একজন সাইফুদ্দিনের ছবি দিয়ে সমাজচ্যূতের ঘোষণা জানান। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সমাজ থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে’। এর পর থেকে সমাজের লোকজন এই চার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা ও চলাফেরা বন্ধ করে দেয়।

সাইফুদ্দিন বলেন, ‘পৌর কাউন্সিলর সবুজ বেপারী গেলো নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।তার যোগসাজশে আমাদের বিরুদ্ধে মসজিদ কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ফেসবুকে কারো নাম নিয়ে পোস্ট করিনি। পোস্টে ছিল ‘মসজিদের ইমাম পাল্টানো যায়। কিন্তু ঘুষখোর আর সুদখোর পাল্টানো যায় না।’

চাঁদপুর সনাকের সদস্য ও সাবেক সভাপতি মোশারেফ হোসেন মিরন বলেন, কোনো ব্যক্তিকে তার মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করার ক্ষমতা সমাজ বা রাষ্ট্র কাউকে দেয়নি। এটাকে যত দ্রুত সমাধান করা যায়, ততই মঙ্গল। তবে সমাজচ্যূতের এই বিষয়টাকে প্রশাসন শক্তভাবে মোকাবেলা করা উচিত।

মতলব উত্তর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি বলেন, ইমামকে বিদায় দেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। তবে পরবর্তী ঘটনা জানা নেই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।