সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, নীলক্ষেত, কারওয়ান বাজার মোড়, বাংলামোটর মোড়, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় ও চানখারপুল, আগারগাঁও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে রাজধানীজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সবগুলো সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী।
রোববার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়গুলো অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
মেট্রোরেলেও বেশ যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। কিন্তু দুপুর আড়াইটা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট মেট্রো বন্ধ থাকায় মিরপুর-আগারগাঁও-মতিঝিল রুটের যাত্রীদের আরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ঢাকা কলেজ ও আশপাশের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এর পরপরই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে কোটাবিরোধী আন্দোলন ‘বাংলা ব্লকেড’ শুরু হয় বিকাল ৩টায়।
কর্মসূচি অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর চানখাঁরপুল, শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, আগারগাঁও, মহাখালী ও পল্টন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) নবকুমার বিশ্বাস বলেন, কলাবাগান সাইন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, নীলক্ষেত আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পুরো সড়ক বন্ধ হয়ে আছে। কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। তবে ধানমন্ডি থেকে গাবতলীর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অপু ইসলাম জানান, সকাল ১১টায় তিনি শাহবাগ মোড় দিয়ে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় ৩০ মিনিট এক জায়গায় আটকে ছিলেন।
এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহনের বাসচালক রুবেল বলেন, গাড়ি নিয়ে বাংলামোটর আসতেই দেখি রাস্তা বন্ধ। এখানেই প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। কখন ছাড়বে জানি না।