চাঁদপুরে পারভীন আক্তার ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে আরও দুজনকে। তারা হলেন জহিরুল ও ইউনুস।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম।
রসু খাঁ চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের মুন খাঁ ওরফে আবু খার ছেলে। জহিরুল পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো. মোস্তাফা ছেলে এবং ইউনুস একই গ্রামের মৃত মিসির আলীর ছেলে।
জানা গেছে, মসজিদের ছোট্ট এক ফ্যান চুরির ঘটনায় ২০০৯ সালে ঢাকার টঙ্গি থেকে গ্রেপ্তার হন রসু খাঁ। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে একে একে বেরিয়ে আসে তার লোমহর্ষক সব হত্যাকাণ্ডের তথ্য। এ সময় সে নিজের মুখে স্বীকার করে ১১ নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা।
ভালোবাসায় ব্যর্থ হয়ে একসময় সিরিয়াল কিলারে পরিণত হয় রসু খাঁ। টার্গেট ছিল ১০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর। আটকের আড়াই মাস আগে পারভীনকে হত্যা করে রসু খাঁ। তিনি যাদের হত্যা করেছে তারা সবাই ছিল গার্মেন্টস কর্মী। পরে তাকে এবং তার দুই সহযোগীকে পারভীন হত্যা মামলায় আসামি করা হয়।
ওই হত্যা মামলায় সিরিয়াল কিলার রসু খাঁসহ (৪৫) তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। অপর দুইজন হলেন, রসু খাঁর ভাগনে জহিরুল ইসলাম (৩৫) ও তার সহযোগী মো. ইউনুছ (৩৮)।
২০১৮ সালের ৬ মার্চ চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল মান্নান এ রায় দেন। এরপর মামলার নথিসহ ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।