দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত এক মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দায়ের করা ওই মামলায় তাকে জামিন দেওয়া হয়। জামিন পেলেও আপাতত তাকে জেলেই থাকতে হচ্ছে। কারণ, এ সংক্রান্ত অপর এক মামলায় তদন্ত সংস্থা সিবিআইও তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা না–থাকার সিদ্ধান্তটি কেজরিওয়াল নিজেই নেবেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়াল যে একজন নির্বাচিত নেতা, সে বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।’
কেজরিওয়াল ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন বলেও উল্লেখ করেন তারা। একইসঙ্গে ইডির দায়ের করা মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদন আরও বড় কোনো বেঞ্চের কাছে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, যেহেতু বিষয়টি জীবনের অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি (মদ) নীতিসংশ্লিষ্ট এক মানিলন্ডারিং মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। কেজরিওয়ালের দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মদ বিক্রিসংক্রান্ত এক আবগারি নীতির আওতায় কয়েকজন মদ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়।
গ্রেফতারের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে কেজরিওয়াল দিল্লির হাইকোর্টে আবেদন জানান। তবে এতে অবৈধ কিছু হয়নি উল্লেখ করে হাইকোর্ট তার গ্রেফতার বহাল রাখেন। দিল্লি হাইকোর্টের এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান কেজরিওয়াল।
এর আগে, লোকসভা নির্বাচনে প্রচার চালানোর জন্য জামিন পান কেজরিওয়াল। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তিনি আবার কারাগারে ফিরে যান।