রোববার (১৪ জুলাই) পর্দা নামছে এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের। গত ১৪জুন পর্দা উঠা মেগা এই আসর এখন শেষ ধাপে। শুধুই এখন বাকী শিরোপা নির্ধারণী। বার্লিনে ইংল্যান্ড আর স্পেন মধ্যকার ম্যাচেই মিলে যাবে যেই সমীকরণ, শেষ হবে প্রায় এক মাসের ইউরো সফর।
শেষ মুহূর্তে তাই প্রশ্ন উঠেছে, গোল্ডেন বুট জিততে চলেছেন কে? আসরে যেমন লড়াইটা হয়েছে তুখোড়, তেমনি গোল্ডেন বুটের জন্যও এবার লড়াইটা হচ্ছে সেয়ানে সেয়ানে। আসরে সর্বোচ্চ গোলসংখ্যা তিন, সেখানেও নাম রয়েছে একাধিক খেলোয়াড়ের। এবার কী হবে?
উত্তর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাতেই নড়েচড়ে বসেছে সবে। ফাইনালে হ্যারি কেইন ও দানি ওলমোর কেউ গোল না পেলে বিরল এক কীর্তি হবে। গোল্ডেন বুট উঠবে এবার ছয় জনের হাতে! ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি আগে কখনো।
হ্যাঁ, এবারের ইউরোয় গোল্ডেন বুট পেতে পারেন ছয়জন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার নিয়মে পরিবর্তন আনায় এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যাদের প্রত্যেকের গোল সংখ্যাই সমান তিন। তারা হলেন, হ্যারি কেইন, দানি ওলমো, কোডি গাকপো, মিকাউতাজে, জামাল মুসিয়ালা ও ইভান শ্রাঞ্জ।
তবে দল ফাইনালে থাকায় কেইন ও ওলমোর সামনে এখনো পুরস্কারটা নিজের করে নেওয়ার সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে ফাইনালে গোল সংখ্যা বাড়াতে হবে তাদের। দু'জনের কেউ বেশি গোল করলে গোল্ডেন বুট তার। আর গোলসংখ্যা সমান হলে ভাগাভাগি হবে তাদের মাঝে।
সাধারণত ব্যক্তিপর্যায়ের পুরস্কারগুলো একজনই পেয়ে থাকেন। এক যুগ ধরে ইউরোতেও এভাবেই দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রথমে গোলসংখ্যা, এরপর এসিস্টের সংখ্যা দেখা হয়েছে৷ সেখানে সমাধান না হলে সময়ের পরিমাণ মিলিয়ে সবচেয়ে কম সময় মাঠে থাকা ফুটবলারকে দেয়া হয় এই পুরস্কার।
সবশেষ ২০২০ ইউরোতেও ছিল এমন নিয়ম। তবে উয়েফা ফিরে যাচ্ছে তাদের পুরনো নিয়মে। এখন থেকে আর এসিস্ট বা সময় দেখা হবে না। শুধু গোল সংখ্যা দিয়েই বিবেচনা করা হবে গোল্ডেন বুট জয়ীকে৷ সেই সংখ্যা এক বা একাধিকও হতে পারে।
একাধিক গোল্ডেন বুট জয়ের কীর্তি অবশ্য নতুন কিছু নয় ইউরোতে। সর্বোচ্চ পাঁচজন গোল্ডেন বুট জিতেছেন ১৯৬০ সালে ইউরোর প্রথম আসরে। এবার সেই সংখ্যা ছয় করার সুযোগ আছে।