ঢাকা | বঙ্গাব্দ

‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘের নিন্দা

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, চারদিকে ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। আগুন জ্বলছে। রক্তাক্ত ফিলিস্তিনিদের স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
  • | ১৪ জুলাই, ২০২৪
‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘের নিন্দা জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিয় গুতেরেস

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের ‘সেফ জোন’ ঘোষিত আল মাওয়াসি এলাকায় খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নেয়া অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংস হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। গাজার সেফ জোনে শনিবারের ওই বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ জনে। আহত হয়েছেন প্রায় ৩০০ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে রোববার (১৪ জুলাই) এ ঘটনায় নিন্দা জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরায়েলের এ হামলাই প্রমাণ করে গাজায় আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই। গভীরভাবে মর্মাহত আশ্রয়হারা নিরপরাধ মানুষদের হত্যার ঘটনায়। অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, খান ইউনিসের এই শরনার্থী শিবিরে নারী ও শিশুদের ওপর চালানো এ হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানাই। খবর আনাদোলুর।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, হামলা চালানো আল-মাওয়াসির এলাকাকে ইসরায়েল ‘সেফ জোন‘ হিসেবে ঘোষণা করে এবং ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানায়।

ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার দাবি, তারা হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ ও উপ-প্রধান রাফা সালমাকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালিয়েছে। তাদের হামলাটি একটি উন্মুক্ত এলাকায় চালানো হয়েছে যেখানে শুধু হামাস সন্ত্রাসীরাই ছিল, কোনো বেসামরিক ফিলিস্তিনি ছিল না।

হামলার পর শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, তাদের দুইজনের (মোহাম্মদ দেইফ ও রাফা সালমা) কেউ নিহত হয়েছেন কি না- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, চারদিকে ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। আগুন জ্বলছে। রক্তাক্ত ফিলিস্তিনিদের স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেকে আর্তনাদ করছেন। আবার কেউ সেখানে থেকে ‘নিরাপদ স্থানে’ যাওয়ার চেষ্টা করছেন।