কিউবায় কর্মরত উত্তর কোরিয়ার একজন শীর্ষ কূটনীতিক স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২০১৬ সালের পর উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া সর্বোচ্চ পদধারী কূটনীতিক তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএস) মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। খবর গার্ডিয়ানের।
স্ত্রী-সন্তানসহ পালিয়ে যাওয়া ওই কূটনীতিকের নাম রি ইল কিউ বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘চোসুন ইলবো’। কিউবায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসে তিনি রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতেন। দক্ষিণ কোরিয়ার পত্রিকাটিকে রি ইল কিউ জানান, উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে মোহভঙ্গের কারণেই তিনি সিউলে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তার বরাতে ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা জানায়, চাকরির মূল্যায়ন নিয়ে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রি ইল কিউর মতবিরোধ চলছিল। তাই তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অবশ্য উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেওয়াটা নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়ার লন্ডন দূতাবাসের তৎকালীন কর্মকর্তা তাই ইয়ংহো পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেন। ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাই ইয়ংহো।
২০১৯ সালে ইতালিতে নিয়োজিত তৎকালীন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জো সং গিল পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যান। একই বছর কুয়েতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কর্মরত তৎকালীন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতও সপরিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেন। ২০২৩ সালে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০ অভিজাত ব্যক্তি পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ।