ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে জনসংখ্যা বৃদ্ধির রেকর্ড

২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে মোট অভিবাসীর সংখ্যা রেকর্ড ৭ লাখ ৬৪ হাজারে পৌঁছে। ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ কমে তা ৬ লাখ ৮৫ হাজারে দাঁড়ায়।
  • | ১৭ জুলাই, ২০২৪
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে জনসংখ্যা বৃদ্ধির রেকর্ড অভিবাসনের কারণেই মূলত এই বৃদ্ধি

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে রেকর্ড হয়েছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৩ এর মাঝামাঝি জনসংখ্যা ৬ লাখ ১০ হাজার বেড়ে ৬ কোটি ৯০ লাখ হয়। এটি ৭৫ বছরের মধ্যে বার্ষিক সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনা। অভিবাসনের কারণেই মূলত জনসংখ্যার এই বৃদ্ধি। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার প্রকাশিত ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্যমতে, পরিসংখ্যানবিদরা জন্ম ও মৃত্যুর পার্থক্যের ভিত্তিতে যাকে ‘প্রাকৃতিক’ জনসংখ্যা বৃদ্ধি বলেন ওই সময় তা হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪০০ জনে দাঁড়ায়। যা ১৯৭৮ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম। কিন্তু এই সময় অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে ৬ লাখ ২২ হাজার জন। আগের এক বছরে যা ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ জন ছিল।

২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৩ এর মাঝামাঝি এই সময়ে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস থেকে অভিবাসীসহ ১৩ হাজার ৮০০ জন আবার স্কটল্যান্ড বা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে চলে যান।

পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, ১৯৪৮ সালের পর থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে জনসংখ্যার এ বৃদ্ধি সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে জন্মহারে হঠাৎ বৃদ্ধি এবং বিদেশে কর্মরত ব্রিটিশ সামরিক সদস্যরা দেশে ফিরে আসার ফলে জনসংখ্যা ১৫ লাখ বৃদ্ধি পায়।

২০২২ সালের মাঝামাঝি যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭৬ লাখ। ২০২৩ সালের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

এদিকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অর্থনৈতিক উৎপাদন হয়নি। ২০২৩ সালে মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন এক বছর আগের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কম। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে মোট অভিবাসীর সংখ্যা রেকর্ড ৭ লাখ ৬৪ হাজারে পৌঁছে। ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ কমে তা ৬ লাখ ৮৫ হাজারে দাঁড়ায়।