ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জোর করে মেয়ের বিয়ে, মায়ের জেল

  • | ৩০ জুলাই, ২০২৪
জোর করে মেয়ের বিয়ে, মায়ের জেল সকিনা মুহাম্মদ জান নামের ওই নারীর বয়স চল্লিশের কোঠায়

মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এক নারী। আর সেই অপরাধে জেল হয়েছে ওই নারীর। দেশটিতে জোরপূর্বক বিবাহ প্রতিরোধ আইনে কোনো মায়ের সাজা হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, বিয়ে দিতে মেয়ের ওপর জোর খাটান ওই নারী। আর বিয়ের কিছুদিন পরই স্বামীর হাতে খুন হন তার মেয়ে। খবর বিবিসির।

সকিনা মুহাম্মদ জান নামের ওই নারীর বয়স চল্লিশের কোঠায়। ২০১৯ সালে সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে ২১ বছর বয়সী মেয়ে রুকিয়া হায়দারিকে ২৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলী হালিমির সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেন তিনি। বিয়ের ছয় সপ্তাহ পর নববধূ রুকিয়াকে হত্যা করেন মোহাম্মদ আলী। তিনি এখন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা খাটছেন।

সোমবার আদালত সকিনা মুহাম্মদ জানকে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেন। তবে ১২ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন তিনি। বাকি সময়টা কারাগারের বাইরে তাকে বিধিনিষেধের মধ্যে থাকতে হতে পারে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, মেয়ের ওপর ‘অসহনীয় চাপ’ দেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার জোরপূর্বক বিবাহ আইনে প্রথম সাজা পাওয়া নারী সকিনা। ২০১৩ সালে এ আইন পাস করা হয়। এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড। দেশটিতে অনেকের বিরুদ্ধেই এ আইনে বিচার চলছে। তবে তাদের কারোরই রায় এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

সকিনা মোহম্মদ জান আফগান হাজারা শরণার্থী। তিনি তালেবানের হাত থেকে পালিয়ে ২০১৩ সালে পাঁচ সন্তানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় আসেন। আদালতের শুনানিতে বলা হয়, মেয়ে রুকিয়া হায়দারিকে ১৫ বছর বয়সে গোপনে বিয়ে দেন তিনি। দুই বছর পর তার বিচ্ছেদ হয়। এরপর হায়দারি তার বয়স ২৭–২৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করতে চাইতেন না।

রায় ঘোষণার সময় বিচারক ফ্রান ডালজিয়েল বলেন, সে (রুকিয়া) পড়াশোনা করে চাকরি করতে চেয়েছিল। সকিনা হয়ত ভেবে থাকতে পারেন যে, তিনি মা হিসাবে মেয়ের জন্য ভাল সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি বারবার মেয়ে হায়দারির ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে জোর করে তাকে বিয়ে দিয়ে মা হিসাবে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।