ইসরায়েল আর লেবাননের মধ্যে চলছে হামলা আর পাল্টা হামলা। এর মধ্যে বুধবার (৩১ জুলাই) ভোরে হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যকে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বুধবার সকালে এক প্রতিবেদনে জানায়, রাজধানী তেহরানে এক হামলায় হানিয়া ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও হামাসের শীর্ষ নেতার নিহত হওয়ার খবর জানিয়ে বিবৃতি দেয়। পরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পক্ষ থেকেও হানিয়ার নিহত হওয়ার খবর জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। বলা হয়, তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অন্যদিকে, হানিয়া নিহত হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করার চেষ্টা চালায় ইসরায়েল। এমন একটি ধারণা ছিল যে ইরান ও হিজবুল্লাহ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়াতে আগ্রহী নয়। তবে হানিয়া হত্যাকাণ্ড এ ধারণা উল্টে দিল বলে ধারনা করা হচ্ছে। এখন ইরান মধ্যপ্রাচ্যে এ সংঘাত শুরু ও তা বাড়িয়ে তোলার সব সুযোগ পাবে। খবর বিবিসি, আনাদোলু ও সিএনএনের।
বৈরুতে হামলা চালিয়ে লেবাননের সশস্ত্র হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করার ইসরায়েলি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর ইরানে হামাস নেতা হানিয়া নিহত হওয়ার খবর এল। ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠনের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতার হত্যাকাণ্ডে স্বাভাবিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য নতুন করে সংঘাতের মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হলো বলে মনে করছেন অন্য বিশেষজ্ঞরাও।