ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে এক দিনের মেলায় ৭০ মণ মাছ বিক্রি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
নোয়াখালীতে এক দিনের মেলায় ৭০ মণ মাছ বিক্রি সংগৃহীত

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে নোয়াখালীর সেনবাগে দিনব্যাপী জমজমাট মাছের মেলায় ২১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে ৭০ মণ মাছ। 


বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কানকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।


জানা গেছে, পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে নোয়াখালীর সেনবাগের কানকিরহাটে তৃতীয়বারের মতো দিনব্যাপী মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে বিক্রি শুরুর পর থেকেই বেচাকেনা বাড়তে থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা। মাছগুলো সাধারণত পদ্মা, মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের।


বিক্রেতারা তাদের থালায় সাজিয়ে বসেন বড় আকারের রুই, চিতল, কাতল, মৃগেল, কালবাউশ, গ্রাসকার্প, বোয়াল, পাবদা, শোল, গজার, তেলাপিয়া, আইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বাজারে সর্বোচ্চ ১৩ কেজি ওজনের কাতল, রুই, বোয়াল, চিতল, কার্প, আইড় মাছ ওঠে। এছাড়া পুঁটি, চিংড়ি, কৈ, চাপিলা মাছ ওঠে ব্যাপক হারে।


সরেজমিন দেখা যায়, ২০ জন বিক্রেতা অংশ নিয়েছেন মাছের মেলায়। বড় বড় সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে দেশীয় নানা প্রজাতির ছোট মাছও নিয়ে এসেছেন। বেচাকেনাও চলে ব্যাপক। প্রত্যেকটি দোকানের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়। মানুষজন মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন। আবার প্রতিযোগিতা করে কিনছেন।


মাছ ক্রেতা কাউসার আহমেদ বলেন, এবারের মেলায় প্রচুর মাছ উঠেছে। ক্রেতারা দামাদামি করে মাছগুলো ক্রয় করেছেন। সব মাছ তাজা তবে দাম একটু বেশি। আমাদের নোয়াখালীতে একমাত্র এখানেই মাছের মেলা হয়। এছাড়া আর কোথাও এত বিশাল করে মাছ কেনাবেচা হয় না।


মো. ওমর ফারুক নামে এক মাছ বিক্রেতা বলেন, আমরা বেশি দেশীয় মাছ তুলেছি। এসব মাছে মানুষের চাহিদা ছিল বেশি। অনেকেই মেলায় ঘুরতে এসেছেন। তারা বড় বড় মাছ দেখতে এসেছেন। আমরা প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছি। আলহামদুলিল্লাহ বেচাকেনা অনেক ভালো ছিল। 


মামুন আজাদ নামের স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, নোয়াখালীতে কোনো মাছের মেলা হয় না। তাই এটিকে উৎসবমুখর করে তুলতে আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ওজনের মাছের ক্রেতাকে মোবাইল ফোন উপহার দিয়ে থাকি। এই মেলাটা আগামীতেও হবে বলে আমি আশাবাদী এবং আমার উপহার দেওয়া অব্যাহত থাকবে। 


আব্দুজ জাহের নামের আরেক মাছ বিক্রেতা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যবসা বেশ ভালো হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা এবার অনেক বেশি ছিল। চট্টগ্রাম, শরীয়তপুর, ঢাকা, ফেনী থেকেও মাছ এবারের মেলায় এসেছে। পাশাপাশি প্রায় ২০ প্রজাতির বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদীর মাছও এখানে ছিল। সামুদ্রিক মাছের প্রতিও মানুষের আগ্রহ ছিল। তবে দামের কারণে অনেকেই নিতে পারেনি।


মাছের মেলার আয়োজক মো. বেলাল হোসেন ও মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, মাঘ মাসের ১ তারিখ উপলক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো এ মাছের মেলার আয়োজন হলো। সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ৭০ মণ মাছ বিক্রি হয়েছে। প্রকারভেদে এসব মাছের দাম হয়েছে ২১ লাখ টাকা। আগামীতেও আরও বৃহৎ এই মেলা হবে বলে আমরা আশা করি।


thebgbd.com/NIT