ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর মেডিকেল কলেজের নারী চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর হত্যার মর্মান্তিক ঘটনায় বাঙালি সমাজের ক্ষোভ এখন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ১৪ আগস্ট মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ওই ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কলকাতার এক তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাঙালি সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বলিউড তারকাদের মধ্যেও সমবেদনা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রখ্যাত অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওবার্তায় মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই বলছি, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ হবে। বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচু করে আর দাঁড়াতে পারছি না।’
তিনি নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আরো বলেন, নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি রইল। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার সবচেয়ে বড় দাবি।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাজ্য সরকার বলছে, রাত নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। এই লজ্জা রাখার কোনো জায়গা আছে? যেখানে সংসদে, বিধানসভায় নারীদের আসন সংরক্ষণ বিল পাশ হচ্ছে, নারী ক্ষমতায়ণের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এই রাজ্য সরকার বলছে নারীদের রাতে ডিউটি করার প্রয়োজন নেই?
শুভেন্দু আরো বলেন, নারীদের যে রাতে নিরাপত্তা নেই, সেটা সরকার নিজেই বলছে নবান্ন থেকে! এর পরে হয়তো বলবে দিনের বেলাতেও নারীরা বাড়ি থেকে বেরোবেন না! মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সরাসরি আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে নারী স্বাধীনতা, নারী সুরক্ষা, নারীর অধিকার এবং নিরাপত্তা সবই এখন হুমকির মুখে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল- সবাই একযোগে ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরজি কর-কাণ্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে রয়ে যাবে। এ ঘটনায় বেশ চাপে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।