যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীপদ গ্রহণ করেছেন। পদ গ্রহণের পর প্রথম ভাষণে নিজের নীতি স্পষ্ট করে হ্যারিস জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সব মানুষের জন্য প্রেসিডেন্ট হতে চান। কমলা হ্যারিস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রার্থীপদ গ্রহণ করছি। যুক্তরাষ্ট্রের সব মানুষের হয়ে, তাদের কাহিনী বিশ্বের এই মহান দেশে স্বর্ণাক্ষরে লেখার জন্য প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বলেন, ‘জানি, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতের মানুষ এই ভাষণ শুনছেন ও দেখছেন। তাদের কাছে একটা কথাই বলতে চাই, সেই প্রেসিডেন্ট হতে চাই, যিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবেন, তাদের উচ্চাশা পূরণ করবেন। এমন একজন প্রেসিডেন্ট হতে চাই, যিনি নেতৃত্ব দেবেন, যিনি সবার কথা শুনবেন।’
ভোটারদের উদ্দেশ্যে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘একটা নতুন পথে হাঁটার সুযোগ এসেছে। অতীতের তিক্ততা ভুলে, হতাশা মুছে দিয়ে এগোবার সুয়োগ এসেছে। একটা দল বা একটা গোষ্ঠী হিসাবে নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ হিসেবে এগোনোর সুযোগ এসেছে। আমাদের আর পিছিয়ে যাওয়ার সুয়োগ নেই।’
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই প্রার্থী বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়াস মানুষ নন। কিন্তু তাকে আবার হোয়াইট হাউসে আনার প্রতিক্রিয়া খুবই গুরুতর হতে বাধ্য।’
পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কমলা হ্যারিস বলেন, প্রেসিডেন্ট হতে পারলে তিনি ইউক্রেন ও ন্যাটোর পাশে শক্তভাবে দাঁড়াবেন। কমলার মতে, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় এসেছে। বন্দিদের মুক্তি দেয়াটা জরুরি। আমি সবসময়ই ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে। কিন্তু গাজায় যা হয়েছে তা ভয়ংকর ও হৃদয়বিদারক।’
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং এই যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করেছি। আমরা চেয়েছি, ইসরায়েল যেন সুরক্ষিত থাকে এবং বন্দিরা যেন মুক্তি পান। ফিলিস্তিনি মানুষরা যেন মর্যাদা, সুরক্ষা, স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারেন।’ কমলা হ্যারিসের ভাষণের মধ্যে দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সম্মেলন শেষ হয়। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।