সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সহ ছয়জনকে চারটি হত্যা মামলায় নতুন করে রিমান্ডে নিয়েছে আদালত।
অন্যদের মধ্যে রয়েছেন— সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বাড্ডায় সুমন সিকদার (৩১) এবং ঢাকার সূত্রাপুরে শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন কাউসার ও ওমর ফারুকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় পলককে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। আজ তাকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মাসুমা নামে এক নারী গত ২০ আগস্ট বাড্ডা থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, আর নাসরিন বেগম নামে আরেক নারী সূত্রাপুর থানায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
পোশাকশ্রমিক রুবেল নিহতের ঘটনায় আদাবর থানায় দায়ের করা মামলায় আজ সৈকত ও আহমদ হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম গত ২২ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
লালবাগে একাদশ শ্রেণির ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় টুকু, জয় ও সোহেলকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। খালিদের বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা করেন।
আগের রিমান্ডে, ১৫ আগস্ট পলক, টুকু ও সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৯ জুলাই পল্টনে রিকশাচালক কামাল মিয়ার মৃত্যুর মামলায় পলক, টুকু ও সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সাঈদের মৃত্যুর মামলায় জয়কে ২০ আগস্ট পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।