ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে ভারতে রিট

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের উচিত ‘অবিলম্বে ইসরায়েলকে দেওয়া সাহায্য স্থগিত করা।’ বিশেষ করে সামরিক সরঞ্জামসহ অন্যান্য সামরিক সহায়তা।
  • | ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে ভারতে রিট ভারতীয় সর্বোচ্চ আদালত

ইসরায়েলে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রফতানির উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন কোম্পানিকে দেওয়া লাইসেন্স বাতিল এবং নতুন লাইসেন্স দেওয়া বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। ভারতের বেশ কয়েকজন সাবেক আমলা, সমাজকর্মী এবং খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ বুধবার আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণে মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনটি দাখিল করেছেন।

বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে আছেন— বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার দেব মুখার্জি, কূটনীতিবিদ অশোককুমার শর্মা, সাবেক কেন্দ্রীয় আমলা মিনা গুপ্তা, অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ, শিক্ষাবিদ অচিন বিনায়ক, সমাজকর্মী হর্ষ মন্দার, নিখিল দে, ফিরোজ মিঠিবোরয়ালা।

পিটিশনে বলা হয়েছে, গাজায় অবরোধের সময় ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের চলমান রফতানি ভারতের সংবিধানের ১৪ এবং ২১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে, যেখানে সমান অধিকার এবং জানমালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের উচিত ‘অবিলম্বে ইসরায়েলকে দেওয়া সাহায্য স্থগিত করা।’ বিশেষ করে সামরিক সরঞ্জামসহ অন্যান্য সামরিক সহায়তা। গণহত্যা সনদ, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন বা সাধারণ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে এই সামরিক সহায়তা ইসরায়েলের সুবিধা করে দিচ্ছে; সুতরাং এই সহায়তা বন্ধ রাখা উচিত।

১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদ (ভারত স্বাক্ষরকারী দেশ) অধীন গণহত্যা প্রতিরোধ করতে নিজস্ব ক্ষমতার মধ্যে সব ব্যবস্থা নিতে ভারত বাধ্য বলে মন্তব্য করা হয়েছে আবেদনে। এতে বলা হয়, গণহত্যা সনদের তিন ধারায় বলা হয়েছে, ‘গণহত্যায় রাষ্ট্রের জড়িত থাকা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়; কিন্তু ২০২৪ সালের এপ্রিলে ইসরায়েলের ওপর যুদ্ধবিরতি এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে যে প্রস্তাব জাতিসংঘে পেশ করা হয়, তাতে ভোটদানে ভারত বিরত থাকে। বিষয়টি ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চলছে, তা নিয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।