পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) শুক্রবার করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ইমরান খান সরকারি কর্মকর্তাদের বিদ্রোহ উসকে দিয়েছেন। খবর দ্য ডন।
‘এফআইএ’র একটি দল পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে তার অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে একটি বিতর্কিত পোস্টের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদিয়ালা জেলে যায়। কিন্তু ইমরান খান জানান, তিনি তার আইনজীবীদের উপস্থিতি ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে যোগ দেবেন না।
এর আগে দেশটির তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এক বিবৃতিতে বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলো পরিচালনার বিষয়টি তদন্ত করবে এফআইএ। এসব অ্যাকাউন্ট দেশে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।
আতাউল্লাহ তারার অভিযোগ করেন, ইমরান খানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের মাধ্যমে বর্তমান প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা করা হয়েছে। এসব পোস্টের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রীয় দুটি বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেছেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ইমরান খানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলো কে বা কারা পরিচালান করেন তা নিশ্চিত করা হবে এবং এই ধরনের পোস্ট ইমরান খানের নির্দেশে করা হয়েছিল, নাকি অন্য কারও নির্দেশে করা হয়েছিল তাও খুঁজে বের করা হবে। ইমরান খানের অ্যাকাউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা বার্তাটি ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির সমতুল্য’ ছিল বলেও অভিযোগ করেন পাকিস্তানি এই মন্ত্রী।