বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ৫ আগস্টকে বাংলাদেশের অনেক মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ নতুনভাবে মুক্ত এবং স্বাধীন হয়েছে। ১৫ বছর পর্যন্ত আমরা ছিলাম স্বাধীন বাংলাদেশের পরাধীন নাগরিক।
রোববার সন্ধ্যায় নীলফামারী বড় মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নীলফামারী জেলা শাখা আয়োজিত ‘নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার চট করে দেশে আসার কথার বরাত দিয়ে আল্লামা মামুনুল হক বলেন যে, সীমান্তের আশপাশে আছে চট করে ঢুকে যেতে চায়। এখানে তার খুনি হাতুড়ি লীগ আর হেলমেট লীগের সন্ত্রাসীদের আবার জড়ো করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমি আগস্টের বিপ্লবী বাংলার তৌহিদি জনতাকে বলতে চাই, এই পতিত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীর চক্রান্তকে যে কোনো মূল্যে রুখে দিতে হবে। প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায়, প্রতিটি এলাকায় এলাকায়, প্রত্যেক থানায় থানায়, উপজেলায়, জেলায় জেলায় এই ষড়যন্ত্রকারী পতিত স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ মঞ্চ গড়ে রাখতে হবে।
পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ৫০ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতিশোধের রাজনীতি করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার বিশ্বাস ছিল এ দেশের মানুষ তার বাবাকে অযথাই হত্যা করেছে। আর এ কারণে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। সে ৭৫ সালেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছিল, যারা তার বাবাকে হত্যা করেছে সে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে। ৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান মারা যাওয়ার পর তার বাকশালের সাড়ে তিন বছরের কালো শাসনের নিপীড়িত বাংলাদেশের মানুষ সেদিন উল্লাস করেছিল। এ কারণে শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশের সমস্ত মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবার জন্যই রাজনীতিতে এসেছিল। দেশটাকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, মাওলানা আতউল্লাহ্ আমিনী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসাসহ স্থানীয় নেতারা।