ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষের ঢল

আজ সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর মোড়ে। সড়কের দুই পাশে পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন। পুরো রাত সড়কগুলো সরব ছিল মানুষের আনাগোনায়।
  • | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষের ঢল আজ সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর মোড়ে।

ভোর থেকেই নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমান। বেলা বাড়তেই তা ছাড়িয়ে যায় লাখ। চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর এলাকায় জড়ো হন এসব মানুষ। এরপর বের হয় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জুলুস।


আজ সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর মোড়ে। সড়কের দুই পাশে পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন। পুরো রাত সড়কগুলো সরব ছিল মানুষের আনাগোনায়।



১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম নগরীতে এ জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার ছিল ৫২তম জশনে জুলুস। আজ সোমবার সকালে নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে জশনে জুলুস বের হয়। এতে নগর ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা লাখো মানুষ অংশ নেন।


৫২তম এই জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবের শাহ্। অতিথি শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্। এর আগে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। আয়োজক সংগঠন জানায়, ১৯৭৪ সালে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) এ জশনে জুলুসের প্রবর্তন করেন।


জুলুস বিবিরহাট হয়ে মুরাদপুর, মুরাদপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে ডান দিকে মোড় নিয়ে ষোলশহর, ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড় ঘুরে দুপুরে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এ সময় হামদ, নাত, তাকবির, দরুদ শরিফ ও জিকিরে মুখরিত ছিল নগরের সড়কগুলো। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ মোটরসাইকেলে আবার কেউ ট্রাক কিংবা পিকআপের ওপর চেপে জুলুসে অংশ নেয়।


জুলুসকে ঘিরে নগরের বিভিন্ন সড়কে ভাসমান মেলা দেখা গেছে। এতে টুপি, মেসওয়াক, তসবিহ, ইসলামি বই, আতর, পতাকা, পাঞ্জাবি, পাজামা, জুতা বিক্রি হচ্ছে। জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের জন্য অনেকে শরবত, পানি, চকলেট, জিলাপি, খেজুর বিতরণ করেছেন।


জুলুস চলাকালে নগরে বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা কাজ করেছেন। নগরের বিবিরহাট, মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, হামজারবাগ, শুলকবহর, মির্জারপুল রোডসহ বিভিন্ন সড়কে বিভাজক বসিয়ে স্থাপনের মাধ্যমে ডাইভারশন করা হয়েছে।


নগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক–উত্তর) জয়নুল আবেদীন বলেন,  জুলুস চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগর পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন ছিল। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডাইভারশন দিয়ে সড়ক সচল ছিল। জুলুস শেষ হওয়ার পর সেগুলো তুলে নেওয়া হয়েছে।