ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইরাক থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে মার্কিন সেনা

আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে বেশিরভাগ মার্কিন সেনা ইরাক থেকে সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানা গেছে। বাকিরা ২০২৬ নাগাদ দেশে ফিরে যাবে।
  • | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ইরাক থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে মার্কিন সেনা ইরাকে মার্কিন ঘাটি

অবশেষে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দশক পর ইরাক ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দেশটির গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, এরইমধ্যে ইরাকের সঙ্গে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে, এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা। ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ ইরাক থেকে মার্কিন এবং অন্য বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরাক একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।

ইরাক ও সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলা ঠেকাতে প্রায়ই ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই ২০২৫ সাল নাগাদ ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে বেশিরভাগ মার্কিন সেনা ইরাক থেকে সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানা গেছে। বাকিরা ২০২৬ নাগাদ দেশে ফিরে যাবে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানীর উদ্যোগে দেশটিতে থাকা প্রায় আড়াই হাজার সেনার ভাগ্য নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়। প্রায় ছয় মাস ধরে চলে এই আলোচনা। তবে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে চলমান উত্তেজনায় এই আলোচনার গতি কিছুটা ধীর ছিল।

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাগদাদ, পশ্চিম ইরাক এবং দেশটির অন্য অংশে অবস্থিত মার্কিন ও জোট সেনারা আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে চলে যাবে এবং পরবর্তী বছরের (২০২৬ সাল) শেষ নাগাদ উত্তর ইরাকি শহর ইরবিল থেকে বাকি সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
 
মধ্যপ্রাচ্যের কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, ইরাক, সিরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ত্রিশ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। সিরিয়া ছাড়া বাকি দেশগুলোতে মার্কিন সেনারা দেশগুলোর অনুমতি নিয়েই মোতায়েন রয়েছে।