গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে মহানগরীর কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতেরা হলেন আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেন।
স্থানীয়রা জানায়, কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় এসট্রো নিটওয়্যার নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঝুটের ব্যবসা করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কারখানাটি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানা গেছে, এসট্রো নিটওয়্যার কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করেন নগরীর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান। তাদের নেতৃত্বে এক দল লোক ওই কারখানা থেকে আজ সকালে ঝুট বের করতে যান। তখন বিএনপির সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে দলের ১০-১৫ জন তাদের বাধা দেন। এসময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে পাঁচজন আহত হন।
আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে থাকা আরিফ খন্দকার বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা রিপন গার্মেন্টসের এমডি ফারুক সন্ত্রাসী লালন-পালন করে। আমরা তাদের থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে জরুন খেলার মাঠে বসে ছিলাম। তখন তার লোকজন এসে অতর্কিত হামলা করে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনাবাড়ি থানা ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান বলেন, ঘটনার সময় আমি আর হাবিব সেখানে ছিলাম না। আমরা ছিলাম আরেক জায়গায়। আমরা এখানে পরে আসছি। ওখানে বিএনপির সাবেক নেতা সিরাজের বাহিনীর লোকজন চলে এসে গণ্ডগোল করে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ছোট একটি ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছে। এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।