ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মেক্সিকোতে অভিবাসীদের ট্রাকে সেনাদের গুলি, নিহত ৬

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নিতে তারা বদ্ধপরিকর। আইন ভাঙলে তারা কাউকে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়।
  • | ০৩ অক্টোবর, ২০২৪
মেক্সিকোতে অভিবাসীদের ট্রাকে সেনাদের গুলি, নিহত ৬ নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য।

মেক্সিকোর হুইক্সটলা শহরে একটি ট্রাকে সেনাবাহিনী গুলি চালালে ছয়জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। ওই ট্রাকে ৩৩ জন অভিবাসী ছিলেন। এই অভিবাসীরা মিসর, নেপাল, কিউবা, পাকিস্তান ও ভারত থেকে সেখানে যান। মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাকটি একটি সামরিক প্রহরা বলয়কে এড়িয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে সেনারা গুলি চালায়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নিতে তারা বদ্ধপরিকর। আইন ভাঙলে তারা কাউকে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়। যারা মারা গেছেন তারা কোন দেশের মানুষ তা এখনো জানা যায়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, অভিবাসীদের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। তাই আইনি পথে অভিবাসনের আবেদন করা উচিত। আইনি পথে যাতায়াত করা উচিত। তাহলে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যাবে।

গুলি চালানোর কারণ


হুইক্সটলা শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। এখান দিয়ে অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যেতে পছন্দ করে। কারণ, এই রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা খুব বেশি থাকে। তার মধ্যে অভিবাসীদের গাড়ি চিহ্নিত করে ধরা সহজ নয়। ওখানকার অপরাধী গোষ্ঠীগুলি যে ধরনের গাড়ি ব্যবহার করে, সেরকমই দুইটি গাড়ি ট্রাকের পেছনে ছিল।

সেনাবাহিনীর দাবি, তারা বিস্ফোরণের শব্দ পায়, তাই তারা গুলি চালিয়েছিল। ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুইজনের মৃত্যু হয়। মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে দুই সেনা গুলি চালিয়েছে, তাদের ওই শিবির থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের সামরিক আদালতে বিচার হতে পারে। ২০২১ সালে মেক্সিকোর ন্যাশনাল গার্ড একই জায়গায় গুলি চালালে একজন অভিবাসীর মৃত্যু হয়।

মেক্সিকোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ


সীমান্তে যাতে বেশি অভিবাসী না আসে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোকে প্রবল চাপ দেয়। অভিবাসীরা মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করে। তারা মূলত আর্থিক দুরবস্থা ও সহিংসতার হাত থেকে বাঁচার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এখন সেখানে অভিবাসীদের প্রবেশের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।