ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সারা দেশে এক সপ্তাহে গ্রেপ্তার ৭ হাজারের বেশি

সারা দেশে গত এক সপ্তাহে ৭ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
  • | ০৮ অক্টোবর, ২০২৪
সারা দেশে এক সপ্তাহে গ্রেপ্তার ৭ হাজারের বেশি ফাইল ছবি

সারা দেশে গত এক সপ্তাহে ৭ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় করা মামলার পাশাপাশি মাদক, খুন, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধের আসামিও রয়েছেন। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এক প্রকার দিশেহারা ছিল পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দুই মাসের মাথায় এসে আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা কিছুটা বেড়েছে।


সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে ঢাকায় প্রতিদিন গড়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক শর বেশি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাভাবিক সময়ে রাজধানীতে বিভিন্ন ধরনের মামলায় প্রতিদিন ২৫০-৩০০ জন আসামি গ্রেপ্তার হতেন। কোনো আন্দোলন বা বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বেড়ে যেত। তখন রাজনৈতিক নেতা–কর্মী ছাড়া অন্যান্য গ্রেপ্তারের সংখ্যা হতো নামমাত্র।


পুলিশের আটটি মহানগর ইউনিট, নয়টি রেঞ্জ (রেলওয়ে রেঞ্জসহ) ও র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে (১ থেকে ৭ অক্টোবর) সারা দেশে মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭ হাজার ১৮ জন। সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জে, ১ হাজার ২৪৯ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকা রেঞ্জে, ১ হাজার ৩৩ জন। গ্রেপ্তারে সংখ্যায় তৃতীয় রাজশাহী রেঞ্জ। তারা মোট ৮৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মহানগর পুলিশের ইউনিটগুলোর মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ সর্বোচ্চ ৭৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আর সারা দেশে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) গ্রেপ্তার করেছে ৪০০ জনকে।


আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে হতাহতের ঘটনায় করা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের গ্রেপ্তারে এখন সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এসব মামলায় বিগত সরকারের অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আলোচিত নেতা ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা আসামি হয়েছেন। যাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বড় ধরনের অপরাধ ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।


এরপর গ্রেপ্তারে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে হামলাকারী, বিশেষ করে অস্ত্রধারীদের। আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ ও এর অন্যান্য সংগঠনের যাঁরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন কিংবা হামলাকারীদের সংগঠিত করেছেন, তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।