ঢাকা | বঙ্গাব্দ

শেরপুরে সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ

ত্রাণ সামগ্রী মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, পেয়াজ, মোমবাতি, দিয়াশলাই ইত্যাদি। এছাড়া রান্না করা খাবারও বিতরণ করা হয়।
  • | ০৮ অক্টোবর, ২০২৪
শেরপুরে সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ সেনাদের ত্রাণ বিতরণ।
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্যাকবলিতদের মাঝে সেনাবাহিনীর ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলার নকলা, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

এদিন জেলার বন্যার্ত দুই হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়। এসময় সেনাবাহিনীর ১৩ বীরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হাসান হাফিজুল হক, শেরপুর জেলা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর তাউসিফ বিন হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। ত্রাণ সামগ্রী মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, পেয়াজ, মোমবাতি, দিয়াশলাই ইত্যাদি। এছাড়া বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবারও বিতরণ করা হয়। সেনাবাহিনীর ১৩ বীরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হাসান হাফিজুল হক জানান, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নির্দেশনায়  বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী।

এদিকে শেরপুরে কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও পানিবন্দী হাজার হাজারও পরিবার। দুর্ভোগে পানিবন্দী এলাকার মানুষজন। এখনও অনেক জায়গাতেই পৌঁছেনি ত্রাণ সহায়তা। জেলা প্রশাসন বলছে, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সহায়তা পৌঁছানো হয়েছে। চারদিনে বন্যার পানিতে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় মোট ৮ জন মারা গেছেন।

কৃষি বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, পানি কমায় জেলায় এখন ৩৩ হাজার হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান ঢলের পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এছাড়া ১ হাজার হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর মাছের ঘের তলিয়ে গেছে ৬ হাজারেরও বেশি। এতে মাথায় হাত পড়েছে আমন ও মৎস্যচাষীদের। সব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার অন্তত পৌনে দুই লাখ কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।