ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অধ্যক্ষ এবং ঠিকাদার পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আট কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।
  • | ০৯ অক্টোবর, ২০২৪
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নোয়াখালি মেডিকেল কলেজ।

টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতে অভিযোগে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. আব্দুছ ছালামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। এ মামলা আসামি করা হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলীকে। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকেল উকিল কলেজে ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ পর্যন্ত নোয়াখালীর সিলিং ডেকোরেশন কাজে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭শত ৯২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সিলিং ডেকোরেশনের কাজের জন্য প্রতি বর্গফুটে খরচ ধরা হয় ৬,২০০ টাকা যার সরকারি গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী প্রতি বর্গফুট ২১৪.৪৮ টাকা হয়। যেখানে প্রতি বর্গফুটে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয় ৫৯৫০ টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে অধ্যক্ষ ডা. আব্দুছ ছালাম এবং ঠিকাদার আফসানা ইসলাম কাকলী পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮,৫৯,১৭,৭৯২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ জানান, অনুসন্ধানে অর্থ আত্মসাৎ অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই আমরা ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মামলা দায়ের করি।