লক্ষ্মীপুরে গ্যাস নেওয়ার সময় বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এদের মধ্যে ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে জেলার মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গ্রীন লাইফ ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতেরা হলেন সদর উপজেলার চরমনসার বটুমিয়ার ছেলে সুমন হোসেন (৩০), বাঞ্চানগর এলাকার সুজামিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া (৪৫) ও হৃদয় হোসেন (২৩)। এরা সকলেই সিএনজিচালিত অটোচালক। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী ওই ফিলিং স্টেশনে মেঘনা পরিবহন নামে একটি বাস গ্যাস নিতে আসে। বাসটিতে গ্যাস দেওয়া শুরু হলেই সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হয়। এতে চারপাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজিচালিত অটোচালকেরা ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান তিন জন। আহত হন আরও ২০ জন।
পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, আমরা এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এছাড়া এসে কয়েকজনকে আহত অবস্থায় দেখেছি। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। সেজন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, হাসপাতালে তিনটি মরদেহ এসেছে। এ ছাড়া আহত অবস্থায় অনেককেই আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনেকের হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।