দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে যেনো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া শান্তবাহিনী মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায়। লাঞ্চের কিছুক্ষণ পরই তারা নিজেদের সব উইকেট হারিয়ে লজ্জাজনক স্কোর তোলে।
শুরুটা হয় সাদমান ইসলামকে দিয়ে। ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় ওভারেই ‘অপ্রয়োজনীয়’ এক শট খেলেন তিনি। ওয়াইন মুল্ডারের অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরের ফুল লেংথের বল তাড়া করে খেলতে যান। ৪ বলে শূন্য রান করা সাদমানের সেই শটের পরিণতি ছিল দ্বিতীয় স্লিপের ক্যাচ।
মুমিনুল হকের ছয় বলের ইনিংস ছিল বেশ ঘটনাবহুল। মুখোমুখি হওয়া তৃতীয় বলে তাকে এলবিডব্লিউয়ের জন্য জোরালো আবেদন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। পরে রিভিউ নিলেও হক আই দেখা যায়নি ইন্টারনেট ডাউন থাকায়। এর পরের বলেই চার হাঁকান তিনি।
কিন্তু এক বল পরই শুরু হয় আবারও সাজঘরে ফেরার তাড়াহুড়ো। মুমিনুল হন আউট। মুল্ডারের দুর্দান্ত এক বল তার ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
অধিনায়কের কাছে দলের হাল ধরার সুবর্ণ সুযোগ থাকলেও মুল্ডারেই কুপোকাত হন তিনি। তার বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ৭ বলে ৭ রান করে শান্ত ক্যাচ দেন শর্ট মিড অফে দাঁড়ানো মহারাজের হাতে।
এরপর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম হাল ধরার বার্তা দিয়েও টিকে থাকতে পারেননি। ২০ বলে ১১ রান করে কাগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। মুশফিককে ফিরিয়েই টেস্ট ক্যারিয়ারের তিনশ উইকেট পূর্ণ করেন রাবাদা। সবচেয়ে কম বল করে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
৪ উইকেট হারিয়ে ফেলাই মধ্যাহ্নভোজের আগে যথেষ্ট ছিল। কিন্তু বাকি এক ঘণ্টায় আরও দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৩ বলে ১ রান করে রাবাদার বলে আউট হন লিটন দাস। গালিতে দাঁড়িয়ে রীতিমতো উড়ে তার ক্যাচটি নেন স্টাবস।
২৭তম ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৪ বলে ১৩ রান করে তিনি এলবিডব্লিউ হতেই মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঘোষণা দেন আম্পায়াররা।
লাঞ্চ বিরতির পর দ্বিতীয় সেশন শুরু হলে বাংলাদেশের লোয়ার মিডল ও মিডল অর্ডারও কুপোকাত হয়ে যায় প্রোটিয়া বোলারদের তান্ডবে। মাটি কামড়ে পড়ে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়ের প্রতিরোধ শেষ হয় ৩০তম ওভারে। ৯৭ বলে ৩০ রান করা এই ওপেনার ফিরেছেন বোল্ড হয়ে।
এর পরের ওভারে অভিষিক্ত জাকের আলী স্ট্যাম্পিয়ংয়ের ফাঁদে পড়ে মাত্র ২ রানেই সাজঘরে ফেরেন। এরপর শেষদিকে ৩১ বলে ১৬ রান করে দলের সংগ্রহ ১০০ পার করান তাইজুল ইসলাম।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রাবাদা, মুল্ডার এবং মহারাজ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।