দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা যথাযথভাবে নিরূপণ করে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসন করা হবে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বন্যা সংক্রান্ত পুনর্বাসন কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন, এসিআই ফুডস এর বিজনেস ডিরেক্টর ফারিয়া ইয়াসমীন, খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সংগ্রহ ও সরবরাহ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান হোছাইনী, ব্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্য্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন, মাইক্রোকেডিট রেগুলেটরী অথরীটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসেন, মাইক্রো ক্রেডিট সার্ভিসের নির্বাহী পরিচালক মোরশেদ আলম সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মো. আবু বাকের মজুমদার, লুৎফর রহমান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় মোট ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে জানিয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা ও উপজেলা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা পুরো পুনর্বাসন কর্মসূচি তদারকি করবেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি জেলায় নগদ ৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ৩৮ হাজার ৯০০ টন চাল, ৩৮ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্য খাবার, দুই হাজার ৩১৫ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণ মজুরিবাবদ ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, শিশুখাদ্য বাবদ এক কোটি ৮০ লাখ, গো-খাদ্যবাবদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে। এ ছাড়া, দেশের ১৬৩টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতায় ৮৫ কোটি ৩০ লাখ ২৪ হাজার ২০৮ টাকা বিতরণ করেছে।
ফারুক ই আজম বলেন, দেশে এ বছর বন্যায় ব্যাপক জমির শস্য নষ্ট হওয়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। কৃষক যেন অল্প সময়ের মধ্যে সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করতে পারে সে লক্ষ্য কৃষকের মধ্যে বীজ বিতরণ করা হয়েছে।