ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক মুসলিম নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বছর চব্বিশের ওই নারীর নাম ফতেমা খান। রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ।
শনিবার মুম্বাইয়ের ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে হোয়াট্সঅ্যাপ থেকে একটি হুমকিবার্তা আসে। একটি অচেনা নম্বর থেকে হোয়াট্সঅ্যাপে বলা হয়, যোগী ১০ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ না ছাড়লে তার পরিণতিও বাবা সিদ্দিকির মতো হবে। ওই হুমকিবার্তার পরই মুম্বাই পুলিশের জঙ্গিদমন শাখা এবং উল্লাসনগর থানার পুলিশ যৌথ অভিযান শুরু করে। হোয়াট্সঅ্যাপের সূত্র ধরে শুরু হয় তল্লাশি। তাতে গ্রেফতার হন ওই মুসলিম নারী।
পুলিশ জানায়, থানে জেলার উল্লাসনগরের বাসিন্দা ওই নারী পরিবারের সঙ্গেই থাকেন। তার বাবা ব্যবসায়ী। তিনি কাঠের ব্যবসা করেন। ফতেমাও উচ্চশিক্ষিত। তথ্যপ্রযুক্তিতে স্নাতক (বিএসসি) পাশ করেছেন। তাকে গ্রেফতারের পর ইতিমধ্যে জেরা শুরু করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
কী কারণে তিনি ওই হুমকিবার্তা দিয়েছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ফতেমাকে প্রাথমিক জেরার পর পুলিশের অনুমান, তার মানসিক কিছু সমস্যা থাকতে পারে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আটক নারী যথেষ্ট শিক্ষিত। কিন্তু তার মানসিক অস্থিরতা রয়েছে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় লরেন্স বিশ্নোইয়ের দুষ্কৃতীদল জড়িত থাকার কথা উঠে এসেছে। লরেন্সের দলের কোনও যোগ সত্যিই ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর মধ্যে যোগীকে খুনের হুমকিবার্তা আসে পুলিশের কাছে। সামনেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ভোটের প্রচারে মহারাষ্ট্রে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যোগীর। তার আগে সিদ্দিকির পরিণতির কথা উল্লেখ করে এই হুমকিবার্তা আসায় নড়েচড়ে বসেছিল মুম্বাই পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত নারীকে।