লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে আগামী ১০-১৪ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে ইসরায়েল। দেশটির চ্যানেল টুয়েলভকে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
হিজবুল্লাহ প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের জন্য তেলআবিবকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে, যা লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তের উভয় দিক শান্ত হবে। এরইমধ্যে জানা গেছে, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এই চুক্তি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের 'রেজ্যুলিউশন ১৭০১' পূর্ণ বাস্তবায়ন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইসরায়েল এবং মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, অব্যাহত হামলার মুখে হিজবুল্লাহ বর্তমানে হামাসের সঙ্গে নিজেদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। যেহেতু গত দুই মাসে লেবাননভিত্তিক গোষ্ঠীটি কিছু বহুমুখী হামলার সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে তাদের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিয়েদ্দিনসহ অসংখ্য কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা (ওসিএইচএ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আক্রান্ত হয়েছে। এসব হামলায় ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কর্তব্যরত অবস্থায় ৮৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত এবং ৫১ জন আহত হয়েছেন। ওসিএইচএ আরও জানিয়েছে, ২০০৬ সালে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুদ্ধের চেয়ে লেবাননের বর্তমান মানবিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
লেবানন কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে তিন হাজার। আর আহত হয়েছে আরও ১৪ হাজারের কাছাকাছি। বিশ্ব সম্প্রদায় অনতিবিলম্বে লেবাননে যুদ্ধবিরতি দেখতে চায়।